'৫ একীভূত ব্যাংক' এর বিনিয়োগকরীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে সরকার: অর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে সরকার। আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, 'পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত" করার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে মর্মে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এরকম কোন সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহন করেনি। ব্যাংক একীভূত করার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।'
বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর গুজবের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে নতুন একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক গঠন করা হবে। এই ব্যাংকের সম্ভাব্য নাম হবে 'ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক'।
১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, এই পাঁচ ব্যাংকের ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ এখন খেলাপি হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুসারে, একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারই দিচ্ছে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
এসব ব্যাংকের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এক্সিম ব্যাংক ছিল নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের নিয়ন্ত্রণে।