একীভূত ব্যাংকগুলোর কোনো আমানতকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের পাঁচটি সংকটাপন্ন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংককে একীভূত করে 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি' নামে নতুন রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো আমানতকারী তার আমানত হারাবেন না; সব ধরনের আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সোমবার (১ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে এক্সিম ব্যাংক পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এবং ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসিকে অকার্যকর ঘোষণা করে রেজল্যুশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে।
গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে নতুন রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরবর্তীতে ৯ নভেম্বর 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি' গঠনের জন্য লেটার অব ইনটেন্ট জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের মালিকানাধীন নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকার ইতোমধ্যে পরিশোধ করেছে।
গতকাল (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স অনুমোদন করে। সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়াকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি মূলধনের ভিত্তিতে দেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র মালিকানাধীন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। ডিপোজিট সুরক্ষা অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রথম ধাপে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত আমানত সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে এবং একীভূতকরণ সম্পন্ন হওয়ার পর তা দ্রুত পরিশোধ করা হবে। দুই লাখ টাকার বেশি আমানতের জন্য পরিশোধ পরিকল্পনা শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দাবি, নতুন ব্যাংকটি নিবিড় তত্ত্বাবধানে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালিত হবে এবং দ্রুতই একটি আধুনিক, দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক ইসলামী ব্যাংক হিসেবে দাঁড়াবে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করে, এই একীভূতকরণ দেশের ব্যাংকিং খাতকে আরও স্থিতিশীল, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে।
