জুলাই আন্দোলনে নিহতের মামলা নিয়ে প্রতারণা: শাহ আলী থানার ওসি, আইনজীবীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

জুলাই আন্দোলনে নিহত মো. সাগরের পরিবার থেকে একটি মামলা থাকা সত্ত্বেও, একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে আরেকটি মামলা দায়েরকে প্রতারণা বলে অভিযোগ এনে নিহতের মা আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন। ওই মামলার বাদী, আইনজীবী, সাক্ষী এবং শাহআলী থানার ওসি ও ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন তিনি।
আজ বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বড় শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লার স্ত্রী ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত মো. সাগরের মা বিউটি আক্তার এই আবেদন দায়ের করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইসতিয়াক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—শাহ আলী থানার ৯(৩)২৫ নং মামলার বাদী খন্দকার নূরে আমীন সিদ্দিক; মামলার তিনজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসিম উদ্দীন মো. বায়েজিদ, আহসান হাবিব ও আশরাফুল ইসলাম; সাক্ষী আব্বাস আলী ও তাহের মালতিয়া; এবং শাহআলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (নি:) মো. মতিউর রহমান ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাগর। এই ঘটনায় নিহতের মা মিরপুর থানায় মামলা নং-৫৪ (১১)২৪ দায়ের করেন। উক্ত মামলার কিছু আসামি গ্রেপ্তারও হন।
এরপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই মামলা প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ১ থেকে ৬ নং আসামি আদালত থেকে নিহত সাগরের মৃত্যু সনদপত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করে শাহ আলী থানা এলাকায় সাগরের মৃত্যুর ঘটনাস্থল দেখান। এরপর আসামি খন্দকার নূরে আমীন সিদ্দিক নিজেকে সাগরের বোনের জামাই উল্লেখ করে ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে একটি সি.আর. মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসামি মতিউর রহমান ও শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় শাহ আলী থানায় ৯(৩)২৫ নং মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, পরবর্তীতে আসামিরা তাদের মামলার আসামিদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে হলফনামা তৈরি করে চার্জশিট থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য অর্থ গ্রহণ করেছেন।