প্রিজনভ্যানে জাতীয় সংগীত গাইলেন পলক
ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারে নেওয়ার পথে প্রিজনভ্যানে জাতীয় সংগীত গেয়েছেন জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার জুনাইদ আহমেদ পলক। তার সঙ্গে সুরও মিলিয়েছেন ভ্যানের ভেতরে থাকা আরো কয়েকজন আসামি।
পলক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। আজ সোমবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলকসহ ১৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। কারাগারে নেওয়ার জন্য আজ দুপুর ২টার পর তাদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। প্রিজনভ্যানে তুলতেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন পলক।
ট্রাইব্যুনাল থেকে যে প্রিজনভ্যানে করে পলককে নেওয়া হচ্ছিল, সেটিতে বসা ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
এদিন সকাল ১০টার পর কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে এই ১৭ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প-বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তবে অসুস্থ থাকায় আনা হয়নি সাবেক এমপি ফারুক খানকে।
এদিন এ মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় চাইলে আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।
তবে ওবায়দুল কাদেরের এ মামলায় ৪৫ জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হওয়ায় অব্যাহতি চাওয়া হয়। ফলে বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
