সোহাগ পরিবহন কার্যালয়ে হামলা: স্বেচ্ছাসেবক নেতা বিল্লালকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ঢাকার মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কার্যালয়ে সাত জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় রমনা থানার হত্যাচেষ্টার মামলায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল হোসেনসহ দুই জনকে দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
অপর আসামির নাম বাপ্পি।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান নাহিদ আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী রাজিব সরকার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত ৬ সেপ্টেম্বর বিল্লাল হোসেনকে ঢাকার হাতিরঝিল থানার আমবাগান এলাকা থেকে এবং কেরানীগঞ্জ থানার মডেল টাউন এলাকা থেকে বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে আসামি আকাশ ও রুমন ধূমপান করছিলেন। সোহাগ পরিবহনের তিন কর্মচারী তাদের সরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে প্রধান বিল্লালের নেতৃত্বে অন্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সোহাগ পরিবহনের মালিকের বাড়ির গ্যারেজের সামনের নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষের কাচ ভেঙে ফেলেন।
এ সময় সোহাগ কোম্পানির মালিকের ভাই ও কোম্পানির পরিচালক আলী হাসান তালুকদার, তার গাড়িচালক মাসুদ, কোম্পানির কর্মী হাসান তপন, ফরহাদ হোসেন, নাইমুর রহমান আদিব ও মাসুদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়।
হামলাকারীরা সোহাগ পরিবহনের দুটি কাউন্টারে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এতে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তারা দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রির ১৭ হাজার ৫৭০ টাকা লুট করেন।
ওই ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় সোহাগ গ্রুপের নিরাপত্তা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. আল আমিন বাদি হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা বিল্লালসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৮-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।