সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ: দ্বিতীয় দফায় মহাসড়ক অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ
নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে মহাসড়ক অবরোধ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ও হামিরদী ইউনিয়নকে পাশের নগরকান্দা উপজেলায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সকালে প্রথম দফা এবং বিকেলে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনে নামে এলাকাবাসী।
শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া প্রথম দফা অবরোধে আলগী ইউনিয়নের সুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এবং হামিরদী ইউনিয়নের হামিরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে গাছ কেটে ও টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ঢাকা-খুলনা এবং ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
দ্বিতীয় দফার অবরোধ শুরু হয় বিকেল থেকে, ভাঙ্গা গোল চত্বর এলাকায় হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়। আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, তারা ভাঙ্গা উপজেলার অংশ হিসেবেই নিজেদের দেখতে চান। আন্দোলনকারীরা জানান, ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলা গঠিত। আমরা এক আত্মার বন্ধনে আবদ্ধ। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
তাদের দাবি, অবিলম্বে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে আবারও ভাঙ্গা উপজেলার আওতাভুক্ত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত অবরোধ চলবে বলেও তারা হুঁশিয়ারি দেন।
অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহনকে চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, সকালে স্থানীয়রা গাছ কেটে এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। তারা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার করলেও বিকেল থেকে আবারও অবস্থান নিয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
