রাকসু নির্বাচন: কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ছাত্রদলের তালা, ৪ ঘণ্টা পর ফের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও শাখা ছাত্রদলের তালা ঝোলানোর চার ঘণ্টা পর ফের রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সোয়া ২টার দিকে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হলেও কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের বাইরে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের অবস্থান নিয়েছেন।
রাকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আজ রোববার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন। সকাল ১০টায় রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। পরে তারা কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে মনোনয়নপত্র বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায়।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসু নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা হলে, তারা রাকসু নির্বাচন হতে দেবেন না। তারা লাগাতারভাবে প্রশাসনকে বলা সত্ত্বেও তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি।
এরপর বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার মনোনয়নপত্র উত্তোলন করতে গেলে ছাত্রদল তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই মধ্যে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সালাউদ্দিন আম্মারকে চাঁদাবাজ বলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা অংশ, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রশিবিরসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের তালা খুলে দিয়ে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের জন্য কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এরপর দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি হয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুই পক্ষের কেউই শান্ত হচ্ছে না।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদল।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ৫ হাজার শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা না হলে মনোনয়নপত্র বিতরণ করতে দেওয়া হবে। আমরা নির্বাচনে যাবো না।
রাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাকসুর কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সেতাউর রহমান বলেন, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে নতুনভাবে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু ছাত্রদলের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আলোচনায় না গিয়ে মব ভায়োলেন্সর দিকে যাওয়ার প্রবণতা দেখছি। আমরা গণতান্ত্রিক আলোচনার পক্ষে।