বাজারে সবজির দামে অস্বস্তি ক্রেতাদের, এখনও বাড়তি ডিমের দাম

জুলাই মাস থেকে বাজারে সবজির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। খুচরা পর্যায়ে বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৮০ টাকার ওপরে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে ডিমের দামও গত দুই সপ্তাহ ধরে বেড়েছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছে।
নিউমার্কেটে বাজার করতে আসা শরীফ মিয়া বলেন, 'আমাদের কেউ দেখার নাই। আমরা বউ বাচ্চা নিয়ে আছি মহা বিপদে। সংসার ঠিক মতো চলে না, আবার সব কিছুর দাম এত বেশি।'
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের থেকে সামান্য কমেছে আলুর দাম, যা বর্তমানে কেজিপ্রতি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, শসা ৬০–৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, কুমড়ো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে গোল বেগুনের দাম, যা ১৬০–২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মাঝারি বেগুন ও লম্বা বেগুন আগের মতোই যথাক্রমে ১২০ টাকা ও ৮০–১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম কমেছে চিচিঙ্গা ও ধুন্দুলের, যা ১০০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা হয়েছে। মরিচও ২৬০–৩০০ টাকা থেকে কমে ২০০–২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লাল শাক, কলমি শাক ও ডাটা শাকের দামও প্রায় অপরিবর্তিত। এক আঁটি ২০–৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
হাতিরপুলের সবজি ব্যবসায়ী রাহাত বলেন, 'বাজারে মালামাল কম, তাই দাম বেশি। বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় সবজি নষ্ট হয়েছে।'
মাছ ও মাংসের বাজার স্থিতিশীল
রাজধানীর নিউ মার্কেট, লালবাগ ও হাতিরপুলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের দামের তেমন পরিবর্তন হয়নি। পাঙ্গাসের দাম ২০০–২২০ টাকা থেকে কমে ১৯০–২০০ টাকা হয়েছে। রুই ও কাতলের দাম প্রায় অপরিবর্তিত, যথাক্রমে ৩০০–৩৫০ টাকা ও ৪০০–৪৫০ টাকা। কই মাছের দাম সামান্য কমে ২৫০ টাকা থেকে ২৩০–২৪০ টাকা হয়েছে।
গরুর মাংস আগের মতোই কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০–১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগির দাম ৩০০–৩৩০ টাকা, সোনালি মুরগির দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিমের বাজার এখনও উত্তপ্ত। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকা ও হালিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মসলার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আদার দাম
মসলার বাজারে দাম প্রায় স্থিতিশীল থাকলেও আদার দাম কিছুটা বাড়ছে।
চায়না আদা এ সপ্তাহে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০–১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদার দাম ১৫০–১৬০ টাকার মধ্যে থাকলেও, কিছু বাজারে ১৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গুঁড়া মসলার দাম অপরিবর্তিত।
ডাল, তেল ও চালের বাজার স্থিতিশীল
ডাল, তেল ও চালের বাজারও স্থিতিশীল। দেশি মসুর ১৪৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ১০০ টাকা, দেশি মুগ ১৫০–১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০–১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের মধ্যে মিনিকেট ৭৮–৮০ টাকা, পোলাও চাল ১১৫–১২০ টাকা, আটাশ ও পায়জাম ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, তেলের বাজারেও বড় পরিবর্তন নেই। সয়াবিন ১২৫–১৮০ টাকা এবং সুপার তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।