টাঙ্গাইলে সড়কের পুরনো কার্পেটিং তুলে বাড়ির রাস্তায় ব্যবহার, ভিডিও ভাইরাল

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে একটি এলজিইডি সড়কের সংস্কার কাজ চলার সময় পুরনো কার্পেটিং স্থানীয়দের বাড়ির রাস্তায় ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলজিইডি কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের মতে, প্রচারিত ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত সড়কটির কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ঘাটাইলের দেওপাড়া-ধলাপাড়া সড়কের প্রায় ৭ কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা ছিল, যা জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর এলজিইডি প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে কালিহাতীর খাকুরিয়া সেতু থেকে দেওপাড়া বাজার পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে। প্রায় এক বছর ধরে দুর্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করছে।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয় যে স্থানীয়রা সড়কের পুরনো কার্পেটিং বা পিচ করা পাথর তুলে নিজেদের বাড়ির সামনে ব্যবহার করছেন। এ নিয়েই মূলত বিতর্ক শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির সংস্কার কাজ এখনো চলছে। কোথাও পুরনো কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়েছে, আবার কোথাও নতুন ইটের খোয়া ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কাদা এড়াতে স্থানীয় বাসিন্দারা পুরনো কার্পেটিংগুলো নিজেদের বাড়ির প্রবেশপথে ব্যবহার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল আদনান বলেন, 'প্রায় এক বছর ধরে কাজ চলছে, কিন্তু আমাদের দুর্ভোগ আগের মতোই আছে। খানাখন্দে ইটের খোয়া ফেলা হলেও কার্পেটিং না করায় আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।'
রায়হান নামে আরেকজন বাসিন্দা বলেন, 'বৃষ্টির কারণে অনেকের বাড়ির রাস্তায় কাদা জমে যাতায়াত কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে ফেলে দেওয়া কার্পেটিং অনেকে তাদের বাড়ির রাস্তায় ব্যবহার করছেন। এ নিয়েই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।'
সজল মিয়া নামে আরেকজন বলেন, 'স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের এই ভাঙা রাস্তায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ হলে আমাদের অনেক উপকার হয়।'
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রাকিব বলেন, 'সড়কটি আগের চেয়ে ছয় ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। পুরনো কার্পেটিংগুলো তুলে পাশে রাখা হয়েছিল। সেগুলোই স্থানীয়রা নিয়ে ব্যবহার করছেন। এ নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।'
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুর রহমান জানান, '১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭.৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এরই মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি কাজও শেষ করা হবে।'