বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে পঞ্চম দিনের মতো চলছে ব্লকেড কর্মসূচি, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যুবক আটক

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে তিন দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি চলছে। এদিকে আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে জয় বাংলা বলে স্লোগান দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা নগরীর সদর রোড অবরোধ করেন।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা হলেন, বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থী তাহমিদ ইসলাম দাইয়ান ও শাফিন মাহমুদ।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরী। সড়ক বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। যতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাত সংস্কার না হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, 'স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসতে হবে। এসে দাবি মেনে নিতে হবে। নয়তো আমাদের আন্দোলন থামানো যাবে না।'
এর আগে গত রোববার হাসপাতালের স্বাস্থ্যব্যবস্থাস্থার সংস্কারের বিষয়ে তিন মাস সময় চান পরিচালক এ কে এম মশিউল মুনীর।
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে যুবক আটক
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিয়ে গিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ায় সরোয়ার তালুকদার নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর দেড়টার দিকে নথুল্লাবাদে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তামিম বলেন, 'সরোয়ার তালুকদার নামের ওই ব্যক্তি আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের কথাও বলেছেন। শেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তব্য শেষ করেন। তখন আমরা তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেই।'
তবে সরোয়ার তালুকদার নামের ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, 'আমি আওয়ামী লীগের কেউ নই। বক্তব্য দিতে গিয়ে ভুলে বলে ফেলেছি। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছি।'
মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন সিকদার বলেন, 'একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। আমরা ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করছি। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।'