সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ময়নাতদন্তে মিলল ধারালো অস্ত্রের ৯ আঘাত

গাজীপুরে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে জমা দিয়েছে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. এ এন এম আল মামুন জানান, গত ৯ আগস্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে পরদিন তা পুলিশের নিকট পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত তুহিনের গলা, ঘাড়, বুক, পিঠ ও হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে সৃষ্ট গুরুতর নয়টি গভীর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতগুলো আকারে ছোট-বড় হলেও প্রতিটিই সমান গুরুতর ও গভীর ছিল।
জিএমপির বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় বাসন থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি করেছেন নিহতের বড় ভাই মো. সেলিম এবং অপরটি করেছেন তুহিন হত্যার আগে সংঘটিত আরেকটি হামলায় আহত বাদশা মিয়ার ভাই। উভয় মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানিয়েছিলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসার পর ১৫ দিনের মধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি মার্কেটের ভিতর প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন।