মাইলস্টোন দুর্ঘটনা: আরও এক শিক্ষার্থীসহ ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ৩৫

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। আজ (২৬ জুলাই) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক শিক্ষার্থীসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী (১৬) জারিফ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান।
জারিফ উত্তরার সেক্টর ১২, রোড ৫-এ পরিবারের সঙ্গে থাকত। সে দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিল এবং রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শ্রীপুরের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।

সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে মাসুমা (৩৮) নামের আরও একজন বার্ন ইন্সটিটিউটে মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
তিনি স্বামী সেলিম ও দুই সন্তান—এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তুরাগের নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বীর উত্তম এ কে খন্দকার বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পাইলট বিমান থেকে ইজেক্ট করতে পারলেও পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান।
যুদ্ধবিমানটি বিদ্যালয়ের প্রাথমিক ভবনে আছড়ে পড়ার মাত্র কয়েক মিনিট পরেই বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ হওয়ার কথা ছিল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখনো প্রায় ৪০ জন রোগী বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।