বৃষ্টিতে বাড়তি সবজির বাজার, বেড়েছে মুরগির দামও

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি সবজি, কাঁচা মরিচ ও চালের দামও বেশ চড়া রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমি বৃষ্টির কারণে শাক-সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে সরবরাহ কমায় দামও বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা কেজিতে। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে, প্রতি ডজন ডিম বেশিরভাগ খুচরা বিক্রেতা ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তবে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে কিছু বিক্রেতা অবশ্য ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সবজির মধ্যে লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা; করলা ও বরবটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা; কচুর লতি ও কচুমুখী ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কাকরোল, ঝিঙা, চিচিংগা ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং পটোল ও ঢ্যাঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, গত দুই সপ্তাহ আগে বৃষ্টির কারণে বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম এখনো কমেনি। বৃষ্টি শুরুর আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়।
রাজধানীর শাহজাদপুরের সবজি বিক্রেতা তাইজুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, টানা বৃষ্টি হলে আড়তে সবজি কম আসে। এজন্য আমাদেরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, গত ৪-১৪ জুলাই বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে শাক-সবজি, মরিচ ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ২০ জেলায় ১৮ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষতি ৪৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর জমির শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। এর পরের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো দেয়নি সংস্থাটি।
এদিকে মাস দেড়েক আগে নতুন করে চালের দাম বাড়লেও আর কমেনি। মাঝারি চালের দাম এখন ৬০ টাকার বেশি। আর সরু চাল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।