মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: আরও ২ জন রিমান্ডে
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড হাসপাতাল) সামনে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরও দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে অভিযুক্তদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এর আগে আজ সকালে তাদের রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এনিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামি হলেন, মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম। এদের মধ্যে গত ১৭ জুলাই লম্বা মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব ও ২০ জুলাই মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব কারাগারে আটক রয়েছেন।
