হাদি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশাচালক মো. কামাল হোসেন। ঘটনার সময় হাদি তার অটোরিকশাতেই ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলমের আদালত ওই চালকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন হাদিকে বহনকারী ওই রিকশাচালক নিজেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন জানান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'শরিফ ওসমান হাদি, মো. কামাল হোসেনের অটোরিকশায় মতিঝিলের খলিল হোটেল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সাক্ষী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার বক্তব্য আদালতে দিতে ইচ্ছুক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাক্ষী হিসাবে জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মতে লিপিবদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।'
মামলার অভিযোগে বলা হয়, 'শরিফ ওসমান হাদি অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্লাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পল্টন মডেল থানাধীন বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটর সাইকেলে থাকা দুর্বৃত্তরা ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২ টা ২০ মিনিটে হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তার মাথা ও ডান কানের নিচের অংশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর মারা যান।'
এই ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের গত ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় প্রথমে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি পরবর্তীতে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
