Skip to main content
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
The Business Standard বাংলা

Sunday
July 20, 2025

Sign In
Subscribe
  • মূলপাতা
  • অর্থনীতি
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • ফিচার
  • ইজেল
  • মতামত
  • অফবিট
  • সারাদেশ
  • কর্পোরেট
  • চাকরি
  • প্রবাস
  • English
SUNDAY, JULY 20, 2025
ঢাকার বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলোই যেভাবে হয়ে উঠল দুর্গন্ধ ও দূষণের উৎস

বাংলাদেশ

মো. জাহিদুল ইসলাম
20 July, 2025, 12:45 pm
Last modified: 20 July, 2025, 12:47 pm

Related News

  • সুফল নিয়ে সংশয়, তবুও বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে আরও ৫৫ শতাংশ 
  • বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের সাভারের ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের নির্দেশ
  • রাজধানীর জন্য বৈদ্যুতিক বাস: দুই বছরে ব্যয় হবে ২,৫০০ কোটি টাকা
  • জিআই স্বীকৃতি পাওয়া সিরাজদিখানের পাতক্ষীর: না মিষ্টি না টক, তবু স্বাদে অদ্ভুত
  • প্রতিবার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভাবতাম আর ফিরতে পারব না: সিনথিয়া

ঢাকার বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রগুলোই যেভাবে হয়ে উঠল দুর্গন্ধ ও দূষণের উৎস

রাজধানীর ১১৮টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)—যেখানে অস্থায়ীভাবে আবর্জনা সংরক্ষণ করার কথা—সেগুলোই এখন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের জন্য দুর্গন্ধ, দূষণ ও প্রতিদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মো. জাহিদুল ইসলাম
20 July, 2025, 12:45 pm
Last modified: 20 July, 2025, 12:47 pm
ইনফোগ্রাফ: টিবিএস

ঢাকার বর্জ্য সমস্যার আধুনিক সমাধান হিসেবে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল, বাস্তবে সেটিই এখন এই সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলছে।

রাজধানীর ১১৮টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)—যেখানে অস্থায়ীভাবে আবর্জনা সংরক্ষণ করার কথা—সেগুলোই এখন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের জন্য দুর্গন্ধ, দূষণ ও প্রতিদিনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতি বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এসব এসটিএস নির্মাণ ও পরিচালনায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নের বদলে এসব কেন্দ্র দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাবে বর্জ্য সংকট আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও পুরান ঢাকার এসটিএস কেন্দ্রগুলোর আশপাশের বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই তাদের সহ্য করতে হচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, উপচে পড়া আবর্জনা এবং পথচারীদের চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টিকারী বর্জ্যের স্তূপ।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৩৫টি এসটিএস ঘুরে দেখা গেছে, অনেক স্থানে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, নেই কোনো গন্ধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা; বর্জ্য অপসারণে দেরিও হওয়াও নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে—ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকি কখনও কখনও দিনের পর দিন খোলা জায়গায় পড়ে থাকছে আবর্জনা।

২০২৩ সালে পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (ইএসডিও) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার ৬০ শতাংশেরও বেশি এসটিএস কেন্দ্রে কোনো গন্ধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই এবং প্রায় ৭০ শতাংশ কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়মতো বর্জ্য অপসারণ করা হয় না।

এ অবস্থার জন্য অবশ্য সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা দুষছেন জনসংখ্যার ঘনত্ব, জনবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অভাবকে। পাশাপাশি, তারা বেসরকারি বর্জ্য সংগ্রাহকদেরও দায়ী করছেন, অভিযোগ করছেন—তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে বাসাবাড়ির বর্জ্য এসটিএসে ফেলছেন।

যদিও এই দোষারোপ সাধারণ মানুষকে দুর্গন্ধ হাত থেকে বাঁচাতে পারছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা এসটিএস ধারণায় নয়— বিশ্বের অনেক শহরেই এটি কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে—বরং ঢাকায় এর বাস্তবায়নেই মূল সংকট। অধিকাংশ স্টেশনে নেই লিচেট নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, সীমানা প্রাচীর বা বর্জ্য ছেঁকে রাখার ফিল্টার। ফলে বর্জ্যের তরল ও কঠিন অংশ সড়ক, নালা ও কখনো কখনো আশপাশের বাসবাড়িতে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ছে।

ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে ৭,৫০০ টনের বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয়। অথচ ৩০টি ওয়ার্ডে একটিও এসটিএস নেই, আবার কিছু ওয়ার্ডে রয়েছে দুইটি করে—যা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চরম বৈষম্যকে তুলে ধরেছে।

বর্জ্যভর্তি ভ্যান রাস্তায় যানজটের কারণ

রাজধানীর বেশিরভাগ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস)-এর সামনে সন্ধ্যার পর বর্জ্যবাহী ভ্যান ও ট্রাক সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, যা আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি করে।

উত্তরার এক গাড়িচালক হুমায়ুন কবির বলেন, "উত্তরার এই রাস্তায় অধিকাংশ সময়ই বর্জ্যের ভ্যানের কারণে যানজট লেগে থাকে। ফলে বিকল্প রাস্তা নিতে হয়, আর সেই পথ উল্টো দিক হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশ মামলা দেয়। আমরা আছি উভয় সংকটে।"

১২ নম্বর সেক্টরের এসটিএস ঘিরে বাসিন্দারা দুর্গন্ধর অভিযোগ করছেন। ওই এলাকার জায়দা খাতুন বলেন, "এই এসটিএসের আশপাশে দুর্গন্ধে টেকা দায়। তার ওপর ভাঙ্গারির দোকানগুলো চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়, এবং চারপাশে বর্জ্য ছড়িয়ে থাকে। এসটিএস থেকে লিক হওয়া তরল রাস্তা ও লেকে মিশে যায়। বহুবার অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি।"

প্রগতি সরণির পাশে ভাটারা থানার কাছাকাছি অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি এসটিএস প্রতিদিন সন্ধ্যায় বর্জ্যবাহী ভ্যান ও ট্রাক দিয়ে রাস্তায় বড় যানজট তৈরি করে। শুধু যানজটই নয়, আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে আবর্জনা।

এই রাস্তায় নিয়মিত চলাচলকারী মেহেদী হাসান বলেন, "সন্ধ্যার দিকে এসটিএসের কারণে প্রায়ই দীর্ঘ যানজট হয়। বৃষ্টির দিনে বা ভেজা আবর্জনায় মোটরসাইকেল চালিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছি একাধিকবার। এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওপর এসটিএস থাকার কোনো মানে হয় না।"

একই সমস্যা দেখা গেল ঢাকা দক্ষিণ সিটির কলাবাগান বাসস্টপের কাছে মিরপুর রোড ঘেঁষে থাকা এসটিএসে। এখানেও বর্জ্যভর্তি ভ্যান ও ট্রাকের কারণে যানজট লেগে থাকে।

এই রাস্তায় চলাচলকারী জহিরুল ইসলাম বলেন, "এদিকে যানজট, অন্যদিকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ—চলাচলে নাভিশ্বাস ওঠে। যেখানে এসটিএস হওয়ার কথা লোকচক্ষুর আড়ালে, সেখানে এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে বর্জ্যের এমন অব্যবস্থাপনা মেনে নেওয়া যায় না।"

মালিবাগেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) রাস্তার মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে, যার ব্যাবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এসটিএস ঘিরে নিয়মিত দুর্গন্ধ, যানজট ও চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় এসটিএস সংখ্যা কম, ফলে বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। আবার লোকবল ও পরিবহন সংকট থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব বর্জ্য ল্যান্ডফিলে পাঠানো সম্ভব হয় না। এর ফলে ৫০ শতাংশের বেশি বর্জ্য এসটিএসেই জমে থাকে, যা ভ্যানের দীর্ঘ সারি ও দুর্গন্ধের উৎস হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং সমাধানের চেষ্টা করছি।"

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এবিএম শামসুল আলম বলেন, "এসটিএস তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গা না পাওয়ায় আমরা রাস্তার পাশে বা খালের পাড়ে যেখানে জায়গা পেয়েছি, সেখানে এসটিএস করেছি। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের এসটিএস কম। এত ঘনবসতির শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষের ভোগান্তি কমে।"

তিনি আরও বলেন, "বর্জ্যভর্তি ভ্যানের দীর্ঘ সারি, রাস্তা দখল, দুর্গন্ধ ইত্যাদি সমস্যা কীভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন করে নির্দেশনা দেব।"

হাসপাতাল-বিদ্যালয়ের সামনে এসটিএস 

ঢাকা শহরে হাসপাতাল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) ও অস্থায়ী ভাগাড়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি এসটিএস মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের (এমএফএসটিসি) প্রধান ফটকের সামনেই অবস্থিত। প্রতিদিন শত শত শিশু ও মা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার এসটিএস-টি সরিয়ে নিতে আবেদন করলেও করপোরেশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসা হুজাইফা বেগম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "হাসপাতালের সামনেই বর্জ্য, দুর্গন্ধ! চিকিৎসা নিতে এসে যেন নতুন রোগের ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছি। দেখতেও যেমন অস্বস্তিকর, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ।"

শেরেবাংলা নগরের শিশু শিক্ষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেও তৈরি হয়েছে একটি অস্থায়ী বর্জ্যভাগাড়। আশপাশের ভবনগুলো থেকে ময়লা এনে স্কুলের সামনের রাস্তা ও কন্টেইনারে জমিয়ে রাখা হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, বারবার অভিযোগ ও লিখিত আবেদনের পরও সিটি করপোরেশন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ওই এলাকায় নির্ধারিত এসটিএস না থাকায় তারা সেখানে বাধ্য হয়ে বর্জ্য রাখছে, তবে নতুন এসটিএস হলে ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া হবে।

অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি এসটিএস আজিমপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের কাছেই অবস্থিত। নিয়মিত জমে থাকা বর্জ্যের দুর্গন্ধে বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।

এছাড়াও, বংশাল, সায়েদাবাদসহ বেশ কিছু এলাকায়ও স্কুল-কলেজের পাশে গড়ে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী বর্জ্যের ভাগাড়, যা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও শেখার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডে নেই কোনো এসটিএস

ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চরম বৈষম্য ও অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে—ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে এবং দক্ষিণ সিটির ৭৫টির মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে কোনো সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নেই। এসব ওয়ার্ডে বর্জ্য জমে থাকে রাস্তায়, খোলা জায়গায় কিংবা খালের পাড়ে।

সিটি করপোরেশনগুলো ল্যান্ডফিলে বর্জ্য সরিয়ে নিলেও তার আগে অনেক সময় বর্জ্য চলে যাচ্ছে খাল বা ড্রেনে, ফলে পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। এই সংকট সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে দুই সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলোতে।

এমনকি যেসব এলাকায় এসটিএস রয়েছে, সেখানেও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় বর্জ্য জমে থাকতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনের কর্মীরাই তা রাস্তার কোণায়, আবাসিক প্রবেশপথে কিংবা খালের পাশে ফেলে যান। রাতের বেলায় এসব সরিয়ে নেওয়া হলেও জায়গাগুলো অপরিচ্ছন্নই রয়ে যায়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির বকশিবাজার শিক্ষাবোর্ড আবাসিক এলাকায় মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের মাঝখানে জয়নাল রোডে খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলা হয়, এর থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির যন্ত্রণায় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

পুরান ঢাকা ও ঢাকা মেডিকেল এলাকার আশপাশেও খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার চিত্র দেখা গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশেও রয়েছে বর্জ্য ফেলার কয়েকটি উন্মুক্ত স্থান।

ঢাকা উত্তর সিটির মিরপুর-১০ থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত অন্তত তিনটি স্থানে এবং ৬০ ফিট রাস্তায় সারাদিনের বর্জ্য ফেলে রাখা হয়। রাতের বেলায় তা সরানো হলেও জায়গাগুলো অপরিচ্ছন্নই থেকে যাচ্ছে।

কাজীপাড়ার বাসিন্দা সিতওয়াত নাইম বলেন, "প্রতিদিন রাতে রাস্তার ওপরই বর্জ্যের স্তূপ জমে। সিটি করপোরেশনকে একাধিকবার জানালেও তারা বলে এখানে এসটিএস নেই। আমরা এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।"

কী হতে পারে সমাধান?

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, "বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে ৪০০-৪৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, যার আওতায় থাকবে নতুন যন্ত্রপাতি, যানবাহন ও অন্যান্য সরঞ্জাম। এতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে আশা করি।"

ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবিএম শামসুল আলম বলেন, "যেসব এলাকায় এসটিএস নেই, সেখানে জায়গার অভাবে নতুন এসটিএস নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। ল্যান্ডফিলের ধারণক্ষমতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আবার বর্জ্যবাহী গাড়ি দিনে চলতে না পারায় বর্জ্য জমিয়ে রাখতে হয়, ফলে চেইনের সব অংশেই সমস্যা হচ্ছে।"

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, "ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো সাইকেলেই সমস্যা রয়েছে। এসটিএস হলো এর একটি অংশ মাত্র। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।"

তিনি বলেন, "সব বর্জ্যকে এক না করে পৃথকভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা নিতে হবে। সিটি করপোরেশন চাইলে এনজিও ও প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে পার্টনারশিপে যেতে পারে। এলাকাভিত্তিক ছোট-বড় এসটিএস নির্মাণ এবং পরিবহনের জন্য পর্যাপ্ত গাড়ি সরবরাহ করে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব।"

তিনি আরও বলেন, "শুধু অবকাঠামো নির্মাণ নয়, সিটি করপোরেশনকে কার্যকর ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। বর্জ্য নিয়ে যে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য চলে, সেটি নিয়ন্ত্রণে আনাই এখন চ্যালেঞ্জ।"
 

Related Topics

টপ নিউজ

বর্জ্য / আবর্জনা / বর্জ্য ব্যবস্থাপনা / ঢাকা

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.

MOST VIEWED

  • যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার ধ্বংসকারী বোমা থামাতে নতুন কৌশল বাৎলালেন চীনা বিজ্ঞানীরা
  • যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকারীদের জন্য ২৫০ ডলারের নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ চালু, নেই মওকুফের সুযোগ
  • পূর্বাচলে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে গেল রোলস রয়েস গাড়ি
  • ৫০ বছর আগের ভীতিকর স্মৃতি: ভারত সরকার ৮০ লাখ পুরুষকে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ করায়
  • বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির
  • আমাদের সামনে আরেকটা লড়াই করতে হবে, সেটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির

Related News

  • সুফল নিয়ে সংশয়, তবুও বিআরটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে আরও ৫৫ শতাংশ 
  • বিএসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের সাভারের ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন জব্দের নির্দেশ
  • রাজধানীর জন্য বৈদ্যুতিক বাস: দুই বছরে ব্যয় হবে ২,৫০০ কোটি টাকা
  • জিআই স্বীকৃতি পাওয়া সিরাজদিখানের পাতক্ষীর: না মিষ্টি না টক, তবু স্বাদে অদ্ভুত
  • প্রতিবার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভাবতাম আর ফিরতে পারব না: সিনথিয়া

Most Read

1
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার ধ্বংসকারী বোমা থামাতে নতুন কৌশল বাৎলালেন চীনা বিজ্ঞানীরা

2
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণকারীদের জন্য ২৫০ ডলারের নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ চালু, নেই মওকুফের সুযোগ

3
বাংলাদেশ

পূর্বাচলে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে গেল রোলস রয়েস গাড়ি

4
আন্তর্জাতিক

৫০ বছর আগের ভীতিকর স্মৃতি: ভারত সরকার ৮০ লাখ পুরুষকে জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ করায়

5
বাংলাদেশ

বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির

6
বাংলাদেশ

আমাদের সামনে আরেকটা লড়াই করতে হবে, সেটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির

EMAIL US
contact@tbsnews.net
FOLLOW US
WHATSAPP
+880 1847416158
The Business Standard
  • About Us
  • Contact us
  • Sitemap
  • Privacy Policy
  • Comment Policy
Copyright © 2025
The Business Standard All rights reserved
Technical Partner: RSI Lab

Contact Us

The Business Standard

Main Office -4/A, Eskaton Garden, Dhaka- 1000

Phone: +8801847 416158 - 59

Send Opinion articles to - oped.tbs@gmail.com

For advertisement- sales@tbsnews.net