গণভবনে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন ৫ আগস্ট

গণভবণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করা হবে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আজ সোমবার দুপুরে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'আগামী ৫ আগস্ট জুলাই স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হবে। তবে জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে আরও পরে।'
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আওতাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর স্থাপনের জন্য রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে ৩৭টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আগামী বুধবার প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় প্রস্তাবটি পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণভবন থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র ও নাগরিকদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং সেই সময়ের সংগ্রামের দলিল, নিদর্শন ও চিত্র ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করছে সরকার।
সূত্র জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ১৯৯টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে ৪২টি পদ সৃজনের সম্মতি দেয়। এরপর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে ৩৭টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়ে এসব পদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিয়েছে। সচিব কমিটি অনুমোদন দিলে প্রাথমিকভাবে ৩৭ জনবল নিয়েই জুলাই গণ–অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের যাত্রা শুরু হবে।
গণঅভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গণভবনকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ২৪ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই জাদুঘর স্থাপন করা হচ্ছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় জাদুঘরের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।