আ.লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র বা অন্য দলের প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে ইসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এনডিএমের

নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সব কমিটির নেতারা স্বতন্ত্র বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী হিসেবে যেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, সেজন্য তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান দলটির চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'সরকারের নির্বাহী আদেশে কার্যক্রম বা নিবন্ধন স্থগিত থাকা রাজনৈতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয়, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সদস্য এবং অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্যকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।'
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নিবন্ধন স্থগিত বলতে আমরা আওয়ামী লীগকেই বুঝিয়েছি। আইন যেহেতু হয়েছে, সেই আইনের স্পিরিট মানতে হবে। তাই ইসি যেন তাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ব্যবস্থা খুঁজে বের করে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের কাছে দলের (আওয়ামী লীগ) নেতাদের যে কেন্দ্রীয় তালিকা রয়েছে, জেলা , উপজেলা পর্যায়, কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের সম্পর্কে আমরা বলেছি। তারা যাতে দলের নাম লুকিয়ে স্বতন্ত্র বা অন্যে কোনো দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারে।'
ববি হাজ্জাজ বলেন, 'বিদ্যমান আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সুতরাং আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জেলার মোট আসন অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এক জেলায় অবস্থিত সংসদীয় আসন অন্য জেলায় স্থানান্তর করা যাবে না, যেখানে সম্ভব উপজেলাকে অবিভাজিত রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, 'আসন পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, বিভিন্ন আসনের মধ্যে ভোটার সংখ্যার তারতম্য, ভৌগোলিক সীমারেখা এবং যাতায়ত ব্যবস্থা, জনপ্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হবে।'
ববি হাজ্জাজ বলেন, 'আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সংলাপ আয়োজন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় নির্বাচনের তফসিল এবং তারিখ ঘোষণা সংক্রান্ত আলোচনা হয়ে থাকলে তা দ্রুত জাতিকে জানাতে হবে।
আচরণবিধিতে নির্বাচনি ব্যয় ২৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথাও জানান এনডিএম চেয়ারম্যান।