মাওয়া ঘাটে ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার পোর্টের পরিকল্পনা

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় নিজস্ব মালিকানাধীন ২৯ দশমিক ৩১ একর জমিতে ৭৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ইকো কনটেইনার পোর্ট নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ রোববার (২২ জুন) বিকেলে শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে করা ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বিগ্রে. জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই ব্রিফিং করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, নৌ বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
সরকারের এ পরিকল্পনা অনুযায়ী শিমুলিয়া ঘাটে হবে- নদী থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন জীব-বস্তু নিয়ে রিভার মিউজিয়াম, নদীপারে রাতযাপনের জন্য ইকো রিসোর্ট, সুইমিং পুল, শিশুদের জন্য কিডস জোন; এ ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে নদীতীরে একটি ফেরিঘাট পুনঃস্থাপন ইত্যাদি।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, "আমরা এখন পরিকল্পনা করছি। তবে এটি কবে হবে বলা মুশকিল। নির্ধারিত জায়গায় পোর্ট হবে, বাকি জায়গায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির (পর্যটন কেন্দ্র) একটি পরিকল্পনা আছে। সেটি বিআইডব্লিউটিএ'র সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসন বাস্তবায়ন করবে। বিআইডব্লিউটিএর যেহেতু কোনও ফোর্স নাই, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করবে।"
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের কনটেইনার বন্দর নির্মাণে সরকারের অর্থায়নের পরিকল্পনাই বেশি। পর্যটন যেটা হবে, সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চান করতে পারেন। নাহলে সরকারই পুরো ব্যয় নির্বাহ করবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার প্রমুখ।