ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শুরু, রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘ছাড়’ দেওয়ার আহ্বান আলী রীয়াজের

দ্বিতীয় পর্যায়ের পঞ্চম দিনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অসমাপ্ত আলোচনা শুরু করেছে। এদিন প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে আলোচনা শুরুর আহবান করেছে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই আলোচনা শুরু হয়েছে।
আলোচনার শুরুতে আলী রিয়াজ বলেছেন, কমিশনের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত অভিমত আপনারা আরো বেশি ছাড় দেন তাহলে বিষয়গুলো সহজতর হবে। এখানে আমরা-আপনারা বলে কিছু নেই। আমরা সকলে একত্রে এক জায়গায়।
কমিশন জানিয়েছে, আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ উপস্থিত সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও পর্যায়ক্রমে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন এবং নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবেন।
এর আগে, গত ৩ জুন প্রথম দিনের বৈঠকে ৩৩টি দল অংশগ্রহণ করে। এছাড়া দ্বিতীয় দিন ১৭ জুন ২৯টি দল অংশগ্রহণ করে এবং ১৮ জুন তৃতীয় দিনের আলোচনা হয়েছে এবং ১৯ জুন চতুর্থ দিনের আলোচনা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫০টি অধিবেশনে মাত্র ২টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারে অর্থবিল ও আস্থাবিল ব্যাতীত সাংসদরা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে। তবে এখানেও নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে রেখেছে বিএনপি। দলটির বক্তব্য ক্ষমতায় আসলে তারা সংবিধান সংশোধনী ও জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) বিষয়টিও ৭০ অনুচ্ছেদে যুক্ত করবে।
এছাড়া ৪টি স্থায়ী সংসদীয় কমিটি পাবলিক একাউন্টস, প্রিভিলেজ, এস্টিমেট ও আন্ডারটেকিংস তে বিরোধী দল থেকে সভাপতি মনোনয়ন দিতে হবে। তবে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল আরো কমিটিতে বিরোধীদলের আসন অনুপাতে সভাপতি মনোনয়নের দাবি জানিয়েছে।
এর বাইরে, সংসদের উচ্চকক্ষ গঠন ও নারী আসনের সংখ্যা নিয়ে নীতিগত একমত হলেও এর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে, আলোচনা চলমান রয়েছে।
এছাড়াও জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে পরিবর্তন নিয়ে অধিকাংশ দল একমত হলেও কয়েকটি দলের কারণে নীতিগত ঐক্যমত আসেনি।