সংসদে নারী আসন ১০০ করতে ঐকমত্য, তবে সরাসরি নির্বাচনে নারাজ বিএনপি
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ (১৭ জুন) দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নারী আসনের সংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করার বিষয়ে সকলের ঐকমত্য হয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।
সংসদ সদস্যদের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, আস্থাভোট ও অর্থবিল ছাড়া সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন। তবে বিএনপি এখনো তাদের লিখিত অবস্থানে রয়েছে।
তিনি জানান, কয়েকটি দল সংবিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা (যুদ্ধ পরিস্থিতি) বিষয়ে একটি প্রস্তাব সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়টি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিএনপি সেই অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করবে।
সংসদীয় কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাবলিক একাউন্টস, প্রিভিলেজ, এস্টিমেট ও আন্ডারটেকিংস–এই চারটি স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দলের সভাপতি থাকবেন। এছাড়া অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিতেও আসনসংখ্যার আনুপাতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি নিয়োগে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, 'সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল ছাড়া [তারা] ভোট দিতে পারবেন।'
তিনি আরও বলেন, 'চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য কমিটিগুলো আনুপাতিক হারে বিরোধী দল থেকে নেওয়া হবে।'
বর্তমানে সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে, যা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
এর আগে এপ্রিলে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৩০০ করার প্রস্তাব করেছিল, যেখানে সব আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার কথা বলা হয়েছে।
বিদ্যমান মনোনয়ন পদ্ধতিতেই নারী আসনের সমাধান দেখছে বিএনপি
সালাউদ্দিন বলেন, বিদ্যমান মনোনয়ন পদ্ধতিতে আমরা নারী আসনের বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য দল নির্বাচন ও ৩০০ আসনে দলীয় মনোনয়নের কথা বলেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ৩১ দফায় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ছিলই। আসন সংখ্যা হবে ১০০। বেশিরভাগ দল এ বিষয়ে একমত। এর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। পাওয়ার অ্যান্ড ফাংশন নিয়েও আলোচনা চলমান রয়েছে।
প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নিয়োগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির বর্তমান এখতিয়ার নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা মনে করি সেটা থাকা ঠিক হবে না। আইনের শাসনের জন্য রাষ্ট্রপতি কোন কোন বৈশিষ্ট্যর ব্যক্তি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করবেন, সেসব শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারপতিসহ বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কথা হয়েছে। জুডিশিয়াল অ্যাপয়ন্টমেন্ট অর্ডিন্যান্স নিয়ে কারো কোনো বিরোধিতা নেই। যদিও সেটা এখনো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।