জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নেয়নি জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান সংলাপের দ্বিতীয় পর্বে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ।
আজ সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে, লন্ডনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব—এ বিষয়ে একমত হন তারা।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকেও তিন সদস্যের একটি দল বৈঠকে অংশ নেয়।
জামায়াতের অনুপস্থিতি নিশ্চিত করে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা আজকের সংলাপে অংশ নিচ্ছি না।'
জামায়াতের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, দলের পক্ষ থেকে লন্ডনে ইউনুস ও তারেকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে স্বাগত জানানো হলেও বিদেশ থেকে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণায় তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এটি অবমাননাকর ও উপেক্ষামূলক বলেও মনে করে দলটি।
সূত্রটি আরও জানায়, 'ঘোষণাটি যদি দেশের ভেতর থেকেই দেওয়া হতো, তাহলে তা আরও গ্রহণযোগ্য হতো বলে জামায়াতের নেতারা মনে করেন।'
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান বলেন, 'সংলাপে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদল নেই। কমিশনে প্রশ্ন করেছিলাম, তারা কেন নেই। তারা তো এর আগের সব বৈঠকে ছিলো।'
তিনি আরও বলেন, 'কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা লাঞ্চের পরে আসতে পারেন। লাঞ্চের পরে তারা না আসলে আমরা বুঝবো, ভিন্ন কারণ আছে। ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ঐকমত্য এসেছে। আস্থা বিল ও অর্থবিল ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরা মুক্তভাবে দিতে পারবেন।'
তিনি বলেন, 'চারটি স্থায়ী কমিটির সভাপতির বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে। এছাড়াও, অন্যান্য কমিটি সংখ্যা অনুপাতে বিরোধী দল থেকে নেওয়া হবে।'
এদিকে, জামায়াতের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য দেবে ঐকমত্য কমিশন।'