জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, কমিশনের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পাঁচটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে জামায়াতের একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আছে। আশা করি এই ৫টি প্রস্তাবের মধ্যে আমরা কাছাকাছি আসতে পারব এবং জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি হবে। জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনার মাঝে লাঞ্চ বিরতিতে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
জামায়াতের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, 'আমরা একটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কথা বলেছি। অর্থাৎ ঐক্যমত্য কমিশন যেসব বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন, এর মধ্যে যে বিষয়গুলো সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সেগুলোকে একটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করে সংবিধানের উপরে প্রাধান্য দেওয়া। বাকী ক্ষেত্রে সংবিধান যেমন আছে তেমনি থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, '৫ আগস্ট জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জনগণের ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ বাস্তবায়ন করার জন্যই সকল আলোচনা চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর যখন কোনো সংবিধান ছিল না, যখন দেশে কোনো সরকার ছিল না, বিচার বিভাগ ছিল না- সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী এই সময়ে জনগণের ইচ্ছা কার্যকর ছিল।'
শিশির মনিরের মতে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী জনগণের ইচ্ছার যে চরম বহিঃপ্রকাশ, তাকে একটি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে প্রাধান্য দেওয়া হলে আগামী নির্বাচন এর অধীনে হওয়ার পথে কোনো বাধা থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের পর সরকার ব্যবস্থায় সাংবিধানিক ব্যবস্থা অনুসরণ করার সুযোগ না থাকায় সংবিধানের ১৫৩ অনুচ্ছেদের মধ্যে ৫৭টি অনুচ্ছেদ ইতোমধ্যে অকার্যকর হয়ে গেছে। এজন্য আমরা বলেছি, একটি নতুন সাংবিধানিক আদেশ জারি করার জন্য। একটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ জারি করে আগামীতে সংবিধানের উপরে বিশেষ সাংবিধানিক আইনকে প্রাধান্য দিয়ে ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর দেখাতে।'
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, 'গণভোটের প্রস্তাবকে বিকল্প হিসাবে রেখেছি আমরা। বিশেষ সাংবিধানিক আইন জারির প্রস্তাবের ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে গণভোটের মাধ্যমে হবে।'