মেহেরপুর ও দিনাজপুর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৩২ জনকে পুশইন

দিনাজপুর ও মেহেপুর সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (৯ জুন) রাতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ দিনাজপুর অঞ্চলের পৃথক দুটি সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বলে জানিয়েছেন বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান।
তিনি জানান, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্তে অবস্থানরত বিজিবির টহলদল ১৩ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে রয়েছে দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু।
অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার চান্দুরিয়া সীমান্তে বিজিবির টহলদল আরও সাতজনকে আটক করে। এদের মধ্যে রয়েছে দুইজন নারী, দুইজন পুরুষ এবং তিনজন শিশু।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১২ জন বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে বিএসএফ। পরে বিজিবি খবর পেয়ে তাদের আটক করে এবং মুজিবনগর থানা পুলিশকে হস্তান্তর করে।
পুশইন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার ফুলমতি গ্রামের রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২), তার স্ত্রী শাহাজাদী খাতুন (৩০), ছেলে মিরাজ আলী (১৫), একই থানার কবুরামাবুদ গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী লাভলী খাতুন (৪২), ছেলে হাছেন আলী (২০), বাবুল হোসেন (২৪), বাবুল হোসেনের স্ত্রী জেনমিন খাতুন (২০), ছেলে জহিদ হোসেন (৩), জাকির হোসেন (১), হাছেন আলীর স্ত্রী জান্নাতী খাতুন (১৮), ১০ দিন বয়সী মেয়ে হাসিনা খাতুন, শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আজিজুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন হোসেন (২৫)।
পুলিশ জানায়, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়— কেউ ১০ বছর আগে, কেউ ১৫ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান বলেন, "পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি বলে দাবি করছে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে। এছাড়া পুশ ইন বিষয়ে আমরা রাঙ্গেরপোতা ১৬১ বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিয়েছি।"