'ইসি পজিটিভ, নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ফিরে পাব': জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দ্রুত নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর নির্বাচন কমিশনও (ইসি) এবিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আজ সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আদেশে বলা হয়েছে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। আমি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। সুতরাং সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হাইকোর্টের অন্যায় আদেশ বাতিল হয়েছে, ফলে প্রতীকও স্বাভাবিকভাবে ফিরবে। আদালতের রায়ের বিপরীতে ইসির কিছু বলার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, বর্তমান তালিকায় আমাদের প্রতীক নেই বলে বলা হচ্ছে, কিন্তু ২০১৩ সালের হাইকোর্টের রায়ের আগে আমাদের নিবন্ধন ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক তালিকাভুক্ত ছিল। আদালতের রায়ে পূর্বের অবস্থায় ফিরতে বলা হয়েছে, তাই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি স্বাভাবিক। বাকিটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওনারা [ইসি] পজিটিভ [ইতিবাচক] বলেছেন। আমরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পাব, দলের নিবন্ধনও ফিরে পাব।'
এসময় জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
প্রসঙ্গত, এক যুগ আগে হাইকোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ সেই রায় বাতিল করেছেন।