জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সব সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় এ ঘোষণা করেন।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলাতেও আগে হেরেছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। পরে রিভিউ থেকে মামলাটি আপিল শুনানি হয়। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রায় ঘোষণার সময় আইনজীবী, চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চাকরিচ্যুত করা হয়।
আদালতে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানান। এ নিয়ে তারা আন্দোলনেও নামেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের সভায় ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকুরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহালের বিষয়ে রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
তারা আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর ২০১১ সালে কতিপয় অসাধু কর্মকতা-কর্মচারী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করলে তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় ২০১১ সালে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর আগে ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার আবেদন জানিয়ে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। সে সময় দীর্ঘ শুনানির পর ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন।
এরপর ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক ওই রায়ের বিপরীতে রিভিউ মামলা দায়ের করলে আদালত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অপসারণের রায় দেন।