ইউসিবিএলের এজিএম হতে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
আগামী ৩১ জুলাই ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) হতে কোনো বাধা নেই বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।
গত ২৭ জুলাই হাইকোর্টের কোম্পানি-সংক্রান্ত বেঞ্চ এজিএম স্থগিত করে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সেটির বিরুদ্ধে ইউসিবিএল আপিল করলে, আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।
একইসাথে এই আপিল আগামী ৪ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ব্যাংকটির আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তিনি বলেন, ব্যাংকের ৬ জন শেয়ারহোল্ডার হাইকোর্টের কোম্পানি-সংক্রান্ত বেঞ্চে এজিএম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। সেটির প্রেক্ষিতে গত ২৭ জুলাই উচ্চ আদালত ব্যাংকের এজিএম স্থগিত করার আদেশ দেন। ব্যাংক সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে– আজ চেম্বার জজ আদালত এই আদেশ দেন।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, 'ওই ৬ শেয়ারহোল্ডার এজিএম স্থগিত চেয়ে যে আবেদন হাইকোর্টে করেছেন, সেটির আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংক কোম্পানি আইনের ৪৭ ধারা অনুযায়ী, এখানে অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটি শেয়ার ক্যাপিটাল বৃদ্ধি, রাইট শেয়ার দেয়াসহ সমস্ত কার্যবলী করতে পারবেন। এমনকি বোর্ড অব ডিরেক্টরস গঠন করতে পারবে।'
তিনি বলেন,'নিয়মিত কমিটি যেসব কার্যক্রম করতে পারবে—অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিও সেসব কার্যক্রম করতে পারবে। আজকে আমরা আদালতের কাছে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি, প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ক্রাইসস এই ব্যাংকের। এই ক্রাইসিস লেভেলটা তৈরি হয়েছে গত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায়। ব্যাংকটি যেভাবে পরিচালিত হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। তাই এই অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি ব্যাংকটিকে সচল করার জন্য শেয়ার ক্যাপিটাল বৃদ্ধি, রাইট শেয়ার দেয়াসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে—যেটা প্রয়োজন।'
এর আগে গত ২৭ জুলাই হাইকোর্টের আদেশের পর, এজিএম স্থগিত চেয়ে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, 'বর্তমান এডহক কমিটিতে যারা রয়েছেন, তারা নতুন শেয়ার ইস্যু করে- শেয়ারগুলো গ্র্যাব (হস্তগত) করতে চায় এবং ব্যাংকের একক নিয়ন্ত্রণ চায়। তারা একটা এজেন্ডা তৈরি করেছে, ব্যাংকের ৫০ শতাংশ পেইড-আপ শেয়ার একটি স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরকে দেয়া হবে। কিন্তু, আইনে বলা আছে, যেকোনো ব্যাংক কোম্পানিতে কোনো একক ব্যক্তি যৌথভাবে ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেউই ধারণ করতে পারবে না। সেখানে একজনকেই তারা ৫০ শতাংশ দিতে চায়।'
তিনি বলেন, ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ছয়জন মাইনর শেয়ারহোল্ডার আইন অনুযায়ী হাইকোর্টে মামলা করলে হাইকোর্ট এজিএম স্থগিত করে আদেশ দেন।
