আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা: ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আশুলিয়ায় ছয় যুবককে গুলি করে হত্যার পর তাদের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আইসিটি বেঞ্চ রোববার (২৫ মে) এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষের এক মাস সময় চাওয়ার আবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি দাখিল ও শুনানিতে অংশ নেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার। এছাড়াও আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও ফারুক আহম্মেদ।
রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলায় গ্রেপ্তার ছয় অভিযুক্ত—ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আবদুল্লাহিল কাফি, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, সাভার থানার সাবেক ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল মামলার তিন আসামি—সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপস) মো. আবদুল্লাহিল কাফি, সাভার সার্কেলের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম ও ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় যুবককে গুলি করে হত্যা করে তাদের মরদেহ একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদ্দেশ্য ছিল ঘটনাটিকে এভাবে উপস্থাপন করা যেন আন্দোলনকারীরা গাড়িতে আগুন দিয়ে মারা গেছে।
প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, 'দুঃখজনকভাবে, নিহতদের একজন তখনও জীবিত ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা ভ্যানে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলে তিনি জীবন্ত পুড়ে মারা যান।'
গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিটিতে দুটি পৃথক অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগদ্বয় একই ধরনের হওয়ায় একীভূত করে একটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সাইফুল ইসলাম এখনও পলাতক রয়েছেন।