বগুড়ায় উদীচী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা, আহত ১০

শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে বগুড়ায় উদীচী শিল্পগোষ্ঠী এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের পৃথক কর্মসূচি ঘিরে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আজ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের শহীদ খোকন পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৭জন ও বগুড়ার ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের ৩ জন আহত হয়েছে বলে সংগঠন দুটি দাবি করে।
পুলিশ, উদিচী শিল্পীগোষ্ঠী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের নেতারা জানান, শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে আজ বিকাল সাড়ে ৫টায় শহরের সাতমাথায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। একই সময়ে সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় বগুড়ার ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ।
এই পরিস্থিতিতে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কর্মসূচি শুরু করতে গেলে বাধা দেয় ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ। পরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর নেতাকর্মীসহ অন্যরা শহীদ খোকন পার্কে (শহীদ মিনার এলাকায়) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত শুরু করেন। সেখানে গিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বগুড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ফরিদ বলেন, আমাদের কর্মসূচি মুক্তমঞ্চে হবে বলে তারা সেখানে প্রথমে দখল নেয়। তখন আমরা চলে গেছি শহীদ মিনারে। ওখানে গিয়েও ওরা স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করলে সেখানেই আমাদের ওপর হামলা হয়।
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের নেতা জিন্নাহ, ছাত্রনেতা শাওন, সাদ্দাম, প্রান্ত, জিলানসহ ৭জন আহত হয়েছেন। মব তৈরি করে আমাদের এক নেতার মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তারা। এরপর সাতমাথায় এসে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে।
এ সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চের নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়ার যুগ্ম সদস্য সচিব নূর মোহাম্মাদ যোবায়ের বলেন, 'আজ তারাই (উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী) আমাদের ওপর হামলা করেছে। মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। আমাদের তিন থেকে চারজন আহতও হয়েছেন।'
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন বলেন, 'উদীচীর অনুষ্ঠানে মব তৈরির করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে আমাদের কারণে পারেনি। আমরা এখনো উদীচীর কার্যালয়ের সামনে আছি।'