আরও ৭৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারত: বিজিবি মহাপরিচালক

ভারত আবারও ৭৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে এবং আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার (১২ মে) আইন-শৃঙ্খলা পরামর্শ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা তথ্য পাচ্ছি যে খাগড়াছড়ির ওপারে আরও ২০০-৩০০ জনকে জমায়েত করে রাখা হয়েছে, যাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে বাংলাদেশে সীমান্তে নজরদারি জোরদার করায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের পাঠাতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফ এরইমধ্যে সুন্দরবনের কাছে মন্দারমণি এলাকায় ৭৮ জনকে ফেলে রেখে গেছে।
বিজিবি মহাপরিচালক জানান, এর আগে ৭ ও ৮ মে খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও কুড়িগ্রামের রৌমারীর নির্জন এলাকায় ২০০ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
তবে বিজিবির পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক, যারা গত দুই-তিন বছর কিংবা তারও আগে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন।
"এদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিশেষ শাখার (এসবি) মাধ্যমে তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, অনেকেই ভারতে গিয়ে আধার কার্ডসহ বিভিন্ন ভারতীয় কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন," বলেন বিজিবি ডিজি।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের স্থায়ী ঠিকানায় ফেরত পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের ঠেলে দেওয়া এসব মানুষের মধ্যে ৩৯ জন রোহিঙ্গাও রয়েছে, যারা আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে গিয়েছিল। এদের মধ্যে ৫ জনের কাছে ভারতে ইউএনএইচসিআর-এর দেওয়া পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে, জানান বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি বলেন, যদিও "বিএসএফ এই বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না।"