এনবিআরের অচলাবস্থা, বাণিজ্যে অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ী নেতাদের

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে কর্মকর্তাদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' কর্মসূচির কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের প্রধান বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর ও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপোগুলোতে (আইসিডি) কোনো ধরনের কাস্টমস পরিষেবা চালু নেই বলে টিবিএস-কে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গতকাল (শনিবার) কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাস্টমস হাউস ছেড়ে চলে যাওয়ায় আমদানি-রপ্তানির সব ক্লিয়ারেন্স বা অনুমোদন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বন্দর ও আইসিডিগুলোতে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।
শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করে বলেছেন, চলমান সংকট দ্রুত সমাধান না হলে প্রতিদিন প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি আদেশ বাতিল হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
গতকাল শুরু হওয়া এনবিআর কর্মকর্তাদের এই ধর্মঘটের কারণে, সারাদেশেই কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায়, রাজধানীতে গতকাল আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দেশের ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ চলমান সংকট নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, "বর্তমান অচলাবস্থা থেকে যে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে, সরকার তা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে।" তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "বৈঠক মঙ্গলবার কেন? এই সমস্যার সমাধান আজই প্রয়োজন।"
গত ১৪ মে থেকে 'এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ' এর ব্যানারে কর্মকর্তারা আন্দোলন শুরু করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের এনবিআরকে ভেঙে বা দুইভাবে বিভক্ত করে, নতুন রাজস্ব কাঠামোর আওতায় কর প্রশাসন ও নীতিনির্ধারণকে আলাদা করার উদ্যোগের প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে আন্দোলন কিছুদিনের জন্য স্থগিত থাকলেও, গত ২৩ জুন থেকে ফের তা শুরু হয় এবং শনিবার তা পূর্ণমাত্রার ধর্মঘটে (কমপ্লিট শাটডাউন) রূপ নেয়।
এই ধর্মঘটের প্রভাব ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শনিবার সকালেই দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কনটেইনার ডেলিভারি আশঙ্কাজনক হারে কমে যায়, যদিও তখনও পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন শুরুই হয়নি। বন্দর ব্যবহারকারীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি এই অচলাবস্থা চলতে থাকে, তবে বন্দরের ইয়ার্ডে আটকে থাকা ডেলিভারি না হওয়া কনটেইনারের সংখ্যা—কয়েক দিনের মধ্যেই ৪০ হাজার টিইইউ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন ৩,২০০ থেকে ৩,৫০০ ট্রাক রপ্তানি পণ্য নিয়ে ডিপোতে পৌঁছায়। তবে ধর্মঘটের কারণে পুরো কার্যক্রমই এখন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, শনিবার কাস্টমস কর্মকর্তারা কর্মস্থলে আসেননি। ফলে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব মূল্যায়ন কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।
তিনি বলেন, "রপ্তানি বিল জমা না হওয়ায়, রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ডিপোতে ঢুকতে পারছে না। ফলে নির্ধারিত প্রায় ২,০০০ টিইইউ রপ্তানি কনটেইনার বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি।"
বাণিজ্য সম্পূর্ণ অচল
আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তারা গতকাল দেশব্যাপী "কমপ্লিট শাটডাউন" কর্মসূচি পালন করেন এবং আজ রোববারেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, এই অচলাবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ছোট ছোট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যবসায়ীরা দেউলিয়া হবেন এবং শ্রমিকদের সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।
এসময় অর্থনীতির ভয়াবহ ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, "কমপ্লিট শাটডাউনের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।"
রাজধানীতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহরিয়ার, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মির নাসির হোসেনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এনবিআর কর্মকর্তাদের কর্মসূচির কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বিল অব এন্ট্রি জমা, মূল্যায়ন, ব্যাংকিং কার্যক্রম, চালান খালাসসহ সব কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স ছাড়া রপ্তানি কার্যক্রমও অসম্ভব।
এছাড়া, আমদানি পন্য খালাস করার ক্ষেত্রে ভ্যাট অফিসের সার্টিফিকশন প্রয়োজন হয়, যা বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রপ্তানির জন্য কাঁচামাল আমদানির এনটাইটলমেন্ট অনুমোদন বা ইউটিলিটি পারমিশন (ইউপি) এর মত কাজও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ব্যাংকিং সংক্রান্ত কার্যক্রমও। ফলে বেড়ে যাচ্ছে পোর্ট ডেমারেজ, অথচ যার জন্য আমদানিকারকের কোন দায় নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ, দেশের প্রধান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, গতকাল সম্পূর্ণভাবে অচল ছিল। এতে কার্গো চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং সরকারের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, আমদানি-রপ্তানির কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পুরোপুরি স্থগিত রয়েছে, ফলে দেশের ব্যস্ততম বন্দরের বাণিজ্য প্রবাহ একেবারে থমকে গেছে।
খাদের কিনারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো
ব্যবসায়ী নেতারা একযোগে এনবিআরের এই শাটডাউনকে "আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত" বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ছাড়া কাস্টমস সেবা বন্ধ থাকে না।
তারা জোর দিয়ে বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই চরম চাপের মধ্যে রয়েছেন, এর ওপর এই অতিরিক্ত অচলাবস্থা অনেক প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে পারে। তারা আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, অবিলম্বে তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সহযোগিতা করতে।
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, "আংশিক কর্মঘন্টার কারণে (এতদিন ধরে চলা পেন-ডাউন কর্মসূচি) এক দিনের প্রত্যাশিত ইউপি পেতে ১০ দিনের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এতে করে রপ্তানি বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে কিছু বিদেশি বায়ার এয়ার শিপমেন্ট বা রপ্তানি আদেশ বাতিলেরও হুমকি দিয়েছেন। অন্যদিকে পোর্ট ডেমারেজ নির্ধারিত রেটের চারগুণ বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে।"
পারভেজ উল্লেখ করেন, শীতকালীন মৌসুম সামনে রেখে রপ্তানিমুখী কারখানাগুলো—বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, জুতা, সিরামিক, ওষুধ, কৃষি-প্রক্রিয়াজাত পণ্য এবং প্লাস্টিক শিল্প বর্তমানে ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, "এই অচলাবস্থার কারণে যদি সময়মতো পণ্য রপ্তানি করা না যায়, তাহলে বিদেশি ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে নতুন অর্ডার দিতেও অনাগ্রহী হয়ে উঠবেন। আন্তর্জাতিক বাজার কখনো বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করবে না, এসব ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যেতে পারে – যা হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অপূরনীয় ক্ষতি" –বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, "বর্তমানে দেশের রপ্তানি শিল্প বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, … এই ধরণের আন্দোলন বায়ারদের মধ্যে ফের ইমেজ সংকট সৃষ্টি করবে।"
অনতিবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ -এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান আন্দোলনরত এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার 'আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত' দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে যে সমন্বয় থাকা উচিত, তা বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, "দেশীয় বা আন্তর্জাতিক বাজার—কেউই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করবে না।" তিনি স্বীকার করেন, চলমান সংস্কারের প্রেক্ষাপটে এনবিআর কর্মকর্তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের অধিকার আছে, তবে একইসঙ্গে সরকারের উচিত তাদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এখন ক্ষমতা ও টাকার বন্টন নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে। এরা (এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা) সারাজীবন আমাদের জ্বালিয়েছে। এখন সরকারকে এবং জাতীকে জ্বালাচ্ছে।"
ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এবং শীর্ষস্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারক এমএ রহিম ফিরোজ জানান, "বন্দর এলাকায় এখন বিপুল পরিমাণ রপ্তানিমুখী পণ্য চালান আটকে আছে।" তিনি বলেন, বন্দরের ডেমারেজ চার্জ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে।
দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় স্পিনিং মিলের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আগের আন্দোলনের সময় তাদের ২৬ লাখ টাকা ডেমারেজ চার্জ দিতে হয়েছে, এবং বর্তমান পরিস্থিতিতেও একই ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
@এনবিআরে বিরোধের মূল কারণ
প্রসঙ্গত, গত ১২ মে রাতে সরকার এক অধ্যাদেশে এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ গঠন করে। সেসময় এনবিআর কর্মকর্তাদের আপত্তিকে আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এরপর থেকেই আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তারা। এর আগে এনবিআর সংস্কার কমিটি তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেয়, যেখানে এনবিআরকে আলাদা করা এবং দুটি ডিভিশনের প্রধান হিসেবে এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু অধ্যাদেশে রাজস্ব নীতি বিভাগের প্রধান যিনি হবেন, তার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, "সরকার যাকে উপযুক্ত মনে করবেন, এমন কর্মকর্তা।" আর রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে এনবিআরের কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুটি ক্ষেত্রেই এমন কৌশলে লেখা হয়েছে, যাতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পৃথক হওয়া দুটি বিভাগের কর্তৃত্বে আসার সুযোগ রাখা হয়েছে। অতীত অভিজ্ঞায় দেখা গেছে, এ ধরণের কথার মারপ্যাঁচ রাখা হয়েছে সুকৌশলে প্রশাসন ক্যাডারের হাতে পৃথক হওয়া দুটি বিভাগের কর্তৃত্ব রাখার জন্য।
সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই। অন্যদিকে অর্থ উপদেষ্টার কাছে নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে চাইলেও তিনি তাতে তেমন গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ করেন তারা।
এনবিআর সংস্কার কমিটির সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, "আমাদের সুপারিশে এনবিআরকে পৃথক করার কথা ছিল, এবং দুই বিভাগেরই প্রধান এনবিআর থেকেই করার সুপারিশ ছিল। কিন্তু যেকোন কৌশলে এডমিনিস্ট্রেশন ক্যাডার এতে ঢুকে গেছে"- জানিয়ে তিনি বলেন, "এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্বেগকে আমলে নেওয়া উচিত। কিন্তু কেন অর্থ উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে সরাসরি বসতে চাচ্ছেন না?"
"দ্রুত সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ নেয়া উচিত" – বলে মন্তব্য করেন তিনি।