‘বাবাকে খুন করেছি, আমাকে ধরে নিয়ে যান’; ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তরুণী

ঢাকার সাভারে বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (৮ মে) ভোরে সাভার পৌরসভার মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত মেয়ের নাম জান্নাতুল জাহান শিফা।
জানা যায়, ওই তরুণী ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, তিনি তার বাবাকে খুন করেছেন। তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান এবং দ্রুত পুলিশ পাঠানোর কথা বলেন।
খুনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তার বাবা তাকে চার বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন। ২০২২ সালে নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধেই ধর্ষণ মামলা করেন তিনি। দীর্ঘদিন জেলখেটে জামিনে মুক্ত হন তার বাবা। গতরাতে আবার ধর্ষণচেষ্টা করায় তিনি বাবাকে খুন করেছেন।
'জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯'- এর পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৯৯৯ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে সাভার থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীর বাবার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, খুনের অভিযোগে জান্নাতুল জাহান শিফাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার (৫৫)। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়েকে নিয়ে মজিদপুর কাঠালবাগান এলাকায় একটি বাড়ির ৫ম তলার বাসায় ভাড়া থাকতেন আব্দুস সাত্তার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুল জাহান শিফা জানান, তার বাবা তাকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। যে কারণে গতকাল বুধবার রাতে খাবারের সময় তার ভাতের মধ্যে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন।পরে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন।
সাভার মডেল থানা পুলিশের এসআই ইমরান জানান, 'এই হত্যার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।'