মুন্সিগঞ্জে শতবর্ষী মসজিদের ‘দখল’ কিশোর গ্যাংয়ের হাতে, আতঙ্কে এলাকাবাসী

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের কুকুটিয়া ইউনিয়নের শতাধিক বছরের পুরোনো একটি পারিবারিক মসজিদ 'দখলে' নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও তাদের 'বড় ভাই'দের বিরুদ্ধে।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং বায়রা'র বর্তমান সচিব নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, বংশপরম্পরায় পরিচালিত ১১৫ বছরের পুরোনো মসজিদটির কমিটির সব পদ এখন স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
সম্প্রতি কুকুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা নজরুল এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও মুন্সিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গ্যাং সদস্যরা কোনো ওয়াক্তের নামাজে অংশ না নিয়ে শুধু জুমার নামাজে এসে দানবাক্সের টাকা গুনে নিয়ে যায়। এ অর্থ নিজেদের খরচে ব্যবহার করলেও কখনো মসজিদের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেয় না।
এসব অনিয়মের কারণে মসজিদের মুসল্লি দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফজর ও এশার নামাজে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে মুসল্লিরা মসজিদে যেতে অনীহা প্রকাশ করছেন।
বাগবাড়ি গ্রামের একাধিক স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত জীবনযাপন করছেন।
নজরুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাঝরাতে কলেজপড়ুয়া তরুণদের ডেকে নিয়ে যায় এবং তাকেও হুমকি দিয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি যেন ঘন ঘন এলাকায় না আসেন কিংবা কোনো অনিয়ম দেখলেও কাউকে কিছু না বলেন।
জানা গেছে, এলাকায় প্রবাসী পরিবারের সংখ্যা বেশি, আর তাদের অনুপস্থিতিতে গ্যাং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নজরুল ইসলামের অভিযোগ, তাদের পারিবারিক বাগানে সম্প্রতি দুইবার আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কিশোর গ্যাং। তার পরিবারের কেউ গ্রামে না থাকায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযোগে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান হিসেবে স্থানীয় জসীম মোল্লা ও তার ভাতিজা মিলনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ সংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।