বিবাহের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধান বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) অধ্যাদেশে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে যুক্ত করা নতুন বিধান কেন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের ওপর শুনানি নিয়ে আজ রোববার (৪ মে) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইন সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন খান জিয়াউর রহমান।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান এবং মানবাধিকার সংগঠন 'এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশনে'র পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের সম্মতিতে সংঘটিত শারীরিক সম্পর্ক যদি শুধুমাত্র 'বিয়ের প্রতিশ্রুতি' না রাখার কারণে অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, তবে তা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও নারীর সম্মতির অধিকার লঙ্ঘন করে।
রিটকারীর পক্ষে বলা হয়, এ ধরনের অভিযোগে নারীকে নির্বোধ বা লোভী হিসেবে চিত্রায়ন করা হয়, যা নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও সম্মানের পরিপন্থী।
আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান, প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণে শুধু পুরুষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটি নাগরিক অধিকার ও ন্যায়বিচার পরিপন্থি আইন। তাই এই আইন বাতিল করার জন্য রিট দায়ের করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক মাগুরায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর নিহতে ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক আন্দোল গড়ে ওঠে। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত ৩০ দিনে পরিবর্তে ১৫ দিন ও বিচারকাজ ১৮০ দিনের পরিবর্তে ৯০ দিনে করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে গত ২৫ মার্চ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।