মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না, তদন্তে দায়ভার পেলে ব্যবস্থা: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ (২৮ এপ্রিল) রাজধানীতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ কথা বলেন। নিরীহ কাউকে যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়, সেই নির্দেশনা পুলিশের সব স্তরে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, 'এক সময় মামলা দায়ের করতে বাদী মৌখিকভাবে বলত, পুলিশ সেটি লিখে রাখত। তবে এখন নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসেন। আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে পুলিশের মামলাটি নিতে হয়ে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অপরাধ করেছে ৫-১০ জন; অথচ ৩০০ জনকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।'
আইজিপি বলেন, 'গতকালও এমন একটা মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ আশ্বস্ত করছে তদন্তে যাদের নাম আসবে তারাই কেবল গ্রেপ্তার হবেন। অন্যদের হয়রানি করবে না কেউ।'
তিনি আরও জানান, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলাগুলোর পলাতক অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি জড়িত পুলিশ সদস্যদের অনেকেই বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। যারা দেশে রয়েছেন তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, আর যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের ফেরানো জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলি চালানো ও গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রায় ১৫০০ মামলা রয়েছে, হত্যা ৬০০ এর অধিক। তদন্ত শেষ না হলে পুলিশের দায়, নির্দেশদাতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে এদের মধ্যে যারা দেশে রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার; আর যারা বিদেশে রয়েছেন তাদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।'
গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় মিরপুরে গুলিতে নিহত হন নওগাঁর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহফুজ আলম শ্রাবণ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিনেতা ইরেশ যাকের, শেখ হাসিনা ও আরও ৪০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইরেশ যাকের মামলার ১৫৭ নম্বর আসামি।
এদিকে, ২৫ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) কর ফাঁকির অভিযোগে ইরেশ যাকেরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডের (এমসিএল) সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। এশিয়াটিক এমসিএল হলো এশিয়াটিক থ্রি-সিক্সটির প্রধান প্রতিষ্ঠান। ইরেশ যাকের প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তার মা সারা যাকের চেয়ারপার্সন।
ইরেশ যাকেরের নাম মামলায় আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।