পাইপলাইনে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল পরিবহন শুরু মে-এর প্রথম সপ্তাহে

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনে জ্বালানি তেল পরীক্ষামূলক পরিবহন শুরু হচ্ছে চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ হয়েছে। আগামী ৭ মে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে পুরোদমে তেল সরবরাহ শুরু করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
এর আগেও গত মার্চে নতুন এই পাইপলাইন দিয়ে তেল পরিবহনের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে প্রশাসনিক জটিলতায় তা করা হয়নি।
বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য ও অপারেশনস) মণি লাল দাশ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সভা করেছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এটি পরীক্ষামূলক চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হলে জ্বালানি তেল পরিবহণ খরচ কমবে। পরিবেশদূষণও রোধ করা সম্ভব হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে সরবরাহ করা হবে ২৭ লাখ টন ডিজেল। এছাড়া, সাশ্রয় হবে প্রায় ২৩৬ কোটি টাকা।
প্রকল্পের নথিপত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। তখন এটির মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু কাজই শুরু হয় ২০২০ সালে। এরপর প্রথম দফায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ আবার বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। শুরুতে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। বিপিসির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
পাইপলাইনের দুটি অংশ রয়েছে। একটি অংশ চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মুন্সিগঞ্জ হয়ে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশটি গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত। পাইপলাইন ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় বুস্টার পাম্প, ৯টি জেনারেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।