৬ দফা দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

ছয় দফা দাবির বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরিতে সরকারের কমিটি গঠন ও তিন সপ্তাহ সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে 'টেকনিক্যাল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট, বাংলাদেশ'-এর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয় ও কমিটির ওপর আস্থা রেখে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করছি।'
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবারও আন্দোলনে ফেরার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবারই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার একটি আট সদস্যের কমিটি গঠন করে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সপ্তাহের মধ্যে একটি বাস্তবায়ন রূপরেখা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত সরকারি আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদের জন্য মূল যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং হলেও সেখানে কারিগরি শিক্ষা না থাকা অনেক 'ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর'—যাদের যোগ্যতা কেবল অষ্টম শ্রেণি, এসএসসি বা এইচএসসি—তাদের ৩০ শতাংশ কোটা দিয়ে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে করে কারিগরি শিক্ষার মান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি, দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—সব জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা, সংশ্লিষ্ট পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অন্তর্ভুক্তি, বেসরকারি খাতে ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ এবং ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ কোটা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করা।