‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি’ অভিযোগে মেঘনা আলম হেফাজতে

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পর অভিনেত্রী ও সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গতকাল রাতে (১০ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত তাকে হেফাজতে রাখার আদেশ দেন।
এর আগে, মেঘনাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিশ্চিত করে, তিনি তাদের হেফাজতে রয়েছেন। মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারার আওতায় মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের জন্য হেফাজতে রাখা হয়েছে। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যক্রমে জড়িত হওয়া থেকে তাকে বিরত রাখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা উক্ত আইনের ২(চ) ধারায় সংজ্ঞায়িত।
আদালতের নির্দেশের পর মেঘনাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এই ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার সন্ধ্যায় একটি ফেসবুক লাইভ সম্প্রচারের পর। সেই লাইভে মেঘনা আলম অভিযোগ করেন, পুলিশ পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। প্রায় ১২ মিনিটের ওই ফেসবুক লাইভ হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে তা সড়িয়ে ফেলা হয়।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে সরকার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই হেফাজতে রাখতে পারে। সাধারণত জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার স্বার্থে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়।
মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর 'মিস আর্থ বাংলাদেশ' খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন। পরিবেশ রক্ষা করতে ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে নতুন পণ্য বানিয়ে এবং তা বিক্রয়ের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করে নারীদেরকে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টার জন্য তিনি প্রশংসিত হন।
সম্প্রতি তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দাবি করেন, এক বিদেশি কূটনীতিক পুলিশকে প্রভাবিত করে তার পরিচিতজনদের তুলে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাকে 'সত্য' প্রকাশ না করতে হুমকি দিচ্ছেন। এসব পোস্টও পরবর্তীতে সড়িয়ে ফেলা হয়।