ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, ভারত হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করলেও এটি বাংলাদেশের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না। তিনি বলেন, "এ সংকট কাটাতে আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।"
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, "এমনকি গতকাল আমরা বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিটিংয়ে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই সংকট সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমরা নিশ্চিত করছি যে, কোনো সক্ষমতার অভাবে আমাদের প্রতিযোগিতা কমবে না। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সাথে আমরা সংযোগ উন্নত করতে কাজ করছি যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।"
এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "এর মধ্যে কিছু অবকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, কিছু বাড়তি খরচের বিষয় রয়েছে। আমরা এসব ক্ষেত্রেও কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।"
বাংলাদেশ ভারতীয় ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে পারে কি-না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপদেষ্টা বলেন, "এটা আমার বিচারাধীন নয়। আমার উদ্বেগ হচ্ছে, সক্ষমতা উন্নয়ন।"
এ বিষয়ে ভারতকে কোনো চিঠি পাঠানো হবে জানতে চাওয়া হলে শেখ বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, "এ মুহূর্তে আমরা চিঠি পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা করছি না।"
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি আদেশ জারি করে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের একটি শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল), সিবিআইসি সেই আদেশটি বাতিল করেছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন মাসের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক সাময়িক স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের জন্য তাৎক্ষণিক স্বস্তি এনে দেবে। তিনি বলেন, "এটি আমাদের আরও আলোচনা করার সময় দেবে। যেহেতু স্থগিতাদেশ সাময়িক, আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবো; যাতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানো যায়।"