পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কোনো নিরাপত্তাজনিত হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের একথা জানান।
নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, কোনো ধরনের সিকিউরিটি থ্রেট (নিরাপত্তা হুমকি) নেই।
তিনি বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ পালন হবে। ফলে সেই বিষয়টি সামনে রেখে এবার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে৷। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে সংস্কৃতি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এবার শোভাযাত্রায় আগে-পিছে নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি থাকবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগে-পিছে কারা থাকবে না? বাংলাদেশিরাই তো থাকবে। পুলিশ তো সব বাংলাদেশের লোকই। আনন্দ শোভাযাত্রা যদি সবাই করতে পারে, আমাদের পুলিশ বাহিনী করতে পারবে না! তারাও যদি শোভাযাত্রার সঙ্গে যায় অসুবিধা কী? এ বিষয়টি পুরো অরগানাইজ করছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারপরে কে থাকবে সেটা ওনারা নির্ধারণ করবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ মাসে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আপনারা যতটুকু সন্তুষ্ট আমিও ততটুকু সন্তুষ্ট৷"
বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির শো-রুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে৷ এসব শপের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব৷ যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এ সময় পাশে বসা সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে কি না এ বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। সেখান থেকেই ১০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।
এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গাতে মেলাও হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা।