শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৮

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জাজিরা থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৮০০ থেকে ১ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। বিলাসপুরের ঘটনার মূল আসামি বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কুদ্দুস বেপারীকে র্যাব আটক করেছে। তাকে এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানিয়েছে জাজিরা থানার ওসি।
শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকরা শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বোমার আঘাতে মারুফ মাল (২৫) নামে এক তরুণের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাসান মুন্সি (৫০) নামের এক ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
জাজিরা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, বিলাসপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় দুই পক্ষের ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার আসামি কুদ্দুস বেপারীকে র্যাব আটক করেছে। তাকে এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুলাই বেপারীকান্দি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে কুদ্দুস বেপারী ওরফে 'বোমা কুদ্দুস' ও জলিল মাদবরের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে নারীসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক হাতবোমা ও ককটেল ব্যবহার করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় টহল দেয়।