শাবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণ: প্রক্টরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (২১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো সাইফুল ইসলাম এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক বেলাল শিকদার।
শাবিপ্রবি প্রক্টর মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট দেব। এর সাথে আরও কেউ জড়িত কি না তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ নামের দুই শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর হক।
আদনান ও পার্থকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা দুজনেই শাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শান্ত তারা আদনান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে, স্বাগত দাস পার্থ গত বছরের জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন বলে দাবি করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল-বডি এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২ মে সন্ধ্যায় সহপাঠী আদনান ও পার্থর সঙ্গে কনসার্টে যাওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রীর। তবে কনসার্টে যাওয়ার আগে তারা তাকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে দেখিয়ে তাকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করা হতো। ঘটনাটি জানাজানি হলে ভিডিও ও ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ আদনান ও পার্থকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে। আলোচনা শেষে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।