জুলাই-আগস্টের বিচার বানচালে অর্থ বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে: আইসিটি চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, 'জুলাই-আগস্ট সময়ে সংঘটিত গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পতিত [আওয়ামী লীগ] সরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে—এ বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছি। পাশাপাশি নেপথ্যের কুশীলবদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে।'
তবে তিনি এ বিনিয়োগের প্রকৃতি বা উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
১৯৭১ সালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে জুলাই-আগস্ট সময়ের গণহত্যাসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পরিচালনা করছে।
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত আইসিটিতে ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৭২ জন রাজনীতিবিদ, বিচারক ও সরকারি কর্মকর্তা; ৬২ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বা বরখাস্ত সামরিক কর্মকর্তা।
এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে প্রায় ৩০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
মামলার সংখ্যা বাড়লেও বিচারিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে বিরোধীরা নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তাজুল।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার এ মাসের শেষ দিকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে আশুলিয়ায় হত্যার পর আগুনে পোড়ানো ছয়টি মৃতদেহের মামলার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।