ঈদযাত্রা: ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ, চলাচল স্বাভাবিক

গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে, তবে যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রয়েছে। কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফিরতে পারলেও, এখনও ভোগান্তি রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের চার হাজার সদস্য নিরাপত্তা এবং যানজট নিরসনে কাজ করছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও শিক্ষার্থী স্বেচ্ছাসেবীরাও পুলিশকে সহায়তা করছে।
আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বেশ কিছু শিল্প কারখানা ছুটি হওয়ায় রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়ে। তবে রাতভর ঘরমুখো মানুষ বাড়ি ফিরলেও, শুক্রবার সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। চন্দ্রায় যানবাহনের চাপ থাকলেও, যানজট হয়নি। শুক্রবার বিকেল থেকে চাপ বাড়তে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের এডিসি (ট্র্যাফিক) অশোক কুমার পাল জানান, বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কিছু গার্মেন্টস দুপুরে ছুটি হওয়ায়, বিকেল থেকে কর্মীরা যাত্রা শুরু করেন। রাত ৮টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ে।
শুক্রবার সকালে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় দেখা যায়, কারখানা শ্রমিকসহ অন্যান্য যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে জড়ো হচ্ছেন। অনেকে কম ভাড়ায় ট্রাকে বা পিকআপে ভ্রমণ করছেন। গাজীপুরের রেল স্টেশনেও ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে, তবে ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।
ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার কারখানা ছুটি হলেও, শবে কদরের জন্য তিনি গ্রামে যাননি। শুক্রবার সকালে বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তার মতে, আগে ৩০০ টাকায় হালুয়াঘাট যেতে পারলেও, শুক্রবার ভাড়া ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রী এবং গাড়ির চাপ বেড়েছে, তবে যানজট নেই।

জেলার পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক বলেন, 'ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের ৮২০ জন অফিসার ও ফোর্স সড়ক-মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর-চন্দ্রা এলাকায় এবং ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর এলাকা এবং কাপাসিয়া থানা ও কালিগঞ্জ এলাকায় সড়ক মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ কাজ করছে। এখনো কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। '
গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, গাজীপুর মহানগরের যানজট নিরসনে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় দুটি মহাসড়কে গাজীপুর মহানগর পুলিশের ৩৭১ জন সদস্য এবং ১০০ জন শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী যানজট নিরসনে কাজ করছে। ঈদযাত্রা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী বলেন, 'মহানগর পুলিশের চাহিদার প্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবার ঈদযাত্রা পুলিশকে সহায়তা করতে একশ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করেছে। তারা পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহন চলাচললে শৃংখলা রক্ষায় কাজ করছে। আশা করা যায়, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় এবারের ঈদযাত্রা আগের বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক হবে।'