সুন্দরবনের শাপলার বিলে থেমে থেমে আগুন জ্বলছে, নতুন তদন্ত কমিটি গঠন

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের তেইশের ছিলার শাপলারবিল এলাকায় লাগা নতুন আগুন থেমে থেমে জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। তবে পানির উৎস দূরে থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। নদীতে জোয়ার থাকলে পানি তুলে তা ছিটিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
এদিকে, আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) দিপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন বিভাগ। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, চলমান আগুনের ঘটনা তদন্তে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা ও বাগেরহাটের দশটি ইউনিট রোববার রাত ৯টা থেকে আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হয়। মরা ভোলা নদী থেকে জোয়ারের পানি তুলে পাম্পের মাধ্যমে ছিটানো হচ্ছে। পাশাপাশি বন বিভাগের নিজস্ব সেচপাম্প দিয়েও পানি ছিটানো হচ্ছে। আগুনের বিস্তার ঠেকাতে কেটে দেওয়া হয়েছে আশপাশে ফায়ার লাইন।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (এডি) আবু বকর জামান বলেন, "রাতভর আমরা পানি ছিটানোর কাজ চালিয়েছি। সোমবার সকালে জোয়ার শুরু হওয়ার পর আবারও কাজ শুরু হয়েছে। যেসব স্থানে ধোঁয়া ও আগুনের কুন্ডলি দেখা যাচ্ছে, সেসব স্থানে পানি দেওয়া হচ্ছে। বন বিভাগও তাদের নিজস্ব পাম্প দিয়ে কাজ করছে।"
আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বন অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (সিএফ) ইমরান আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-কে বলেন, "আগুন থেমে থেমে জ্বলছে। তীব্রতা তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এবং পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। জোয়ারের পানির ওপর নির্ভর করেই কাজ করতে হচ্ছে। এখনো বলা যাচ্ছে না কখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।"
তিনি আরও জানান, নতুন এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আগে থেকেই ফায়ার লাইন কেটে রাখা হয়েছে। আপাতত আগুন নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাপলারবিল এলাকায় আগুন দেখতে পান বনকর্মীরা। পরে সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।