তথ্য কমিশনকে স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা করার প্রস্তাব বক্তাদের

তথ্য কমিশনকে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা এবং তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর টিআইবি কার্যালয়ে তথ্য অধিকার ফোরামের আয়োজনে 'তথ্য কমিশনের কার্যকারিতা ও তথ্য অধিকার আইনের সংশোধনী' শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন বক্তারা।
তথ্য অধিকার আইনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি হ্রাস করে দেশে গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্যই বক্তারা তথ্য কমিশনকে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব করেছেন। এতে কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাবে, যা আইনের অধীনে প্রতিটি কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
বক্তারা গত ছয় মাস ধরে তথ্য কমিশন শূন্য অবস্থায় থাকা এবং সরকার কমিশনার নিয়োগের জন্য কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে মিডিয়া রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের (এমআরডিআই) নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান বলেন, তথ্য কমিশন একটি সাংবিধানিক স্বাধীন সংস্থা হবে, যার স্থায়ী ধারাবাহিকতা থাকবে এবং সাধারণ সীলমোহরসহ আইন অনুযায়ী সম্পত্তি অর্জন, রক্ষা ও হস্তান্তর করতে পারবে। এর নামে মামলা দায়ের করা যাবে অথবা এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হতে পারে।
এছাড়া, তথ্য কমিশনকে কার্যকর রাখতে প্রধান তথ্য কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের যোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাব করা হয়।
হাসিবুর রহমান যোগ করেন, সংসদ কার্যকর থাকলে স্পিকার কর্তৃক সরকারি দল এবং বিরোধী দলের একজন করে সংসদ সদস্য মনোনীত করবেন, তবে সংসদ বন্ধ থাকলে বাছাই কমিটির সভাপতি একটি বিচারপতি এবং তথ্য অধিকার ফোরাম একজন প্রতিনিধি মনোনীত করবে।
এছাড়া, পদ শুন্য হলে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রধান তথ্য কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
বক্তারা তথ্য কমিশনারদের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, সুবিধাদি এবং অপসারণের নিয়ম বিচরক অপসারণের মতো করার প্রস্তাব করেছেন।