এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগেই কমছে সহজ শর্তের ঋণ, বৈদেশিক ঋণের ৪৩ শতাংশই এখন বাজারভিত্তিক

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের (এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন) আগেই বাংলাদেশের নমনীয় বা সহজ শর্তের ঋণ প্রবাহ ক্রমাগত কমছে। এতে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ছে বৈদেশিক ঋণ। এমনকী গেল অর্থবছরে সরকারের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় অর্ধেকই বাজারভিত্তিক হারে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে—এলডিসি উত্তরণের পর সহজ শর্তের বা নমণীয় ঋণের ওপর নির্ভরতা কমার প্রভাব তেমন বড় হবে না, কারণ এ ধরনের ঋণ কমে আসার ধারা অনেক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে।
কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেন, এলডিসি উত্তরণের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-সহ বহুপাক্ষিক এবং জাপান চীনের মতো দ্বি-পাক্ষিক ঋণদাতাদের—সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্য অনুযায়ী, সরকারের বাজারভিত্তিক ভাসমান সুদহারের ঋণ বড় আকারে উল্লম্ফন করেছে। বর্তমানে এলডিসি হিসাবে থাকা সত্বেও বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে যে ঋণ নিয়েছে তার ৪২.৭ শতাংশই বাজারভিত্তিক ঋণ। এর আগের অর্থবছরে এ ধরণের ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২৮.২ শতাংশ।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর)-এর সঙ্গে যুক্ত ঋণগুলো এখন অনেক বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। বৈশ্বিক সুদের হার বৃদ্ধির কারণে এসব ঋণ আর আগের মতো স্বল্পসুদের গণ্য হচ্ছে না।
এই বাজারভিত্তিক ঋণ যেগুলো ডলারে নেওয়া হয়েছে, সোফর রেট বেশি হওয়ার কারণে এসব ঋণের নমনীয় হার আর নেই। বেশিরভাগ ঋণের গ্রান্ট এলিমেন্ট ২৫ শতাংশের কম হওয়ায় সেগুলো এখন অনমনীয় ঋণে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে নির্দিষ্ট সুদহারের নমনীয় ঋণও কমছে, আবার নমনীয় ঋণের সুদহার ক্রমাগত বাড়ছে— কমেছে পরিশোধের সময়।
কর্মকর্তারা মনে করছেন, আগামী অর্থবছরে বাজারভিত্তিক ঋণের হার আরও বাড়তে পারে এবং তা মোট বৈদেশিক ঋণের ৫০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
তবে সোফর হ্রাসের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেটাই ইআরডি কর্মকর্তাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সোফর রেট ১ শতাংশের নিচে থাকলেও, যুদ্ধ শুরুর পরে তা ৫.৩ শতাংশে পৌঁছায়। তবে গত ৩ অক্টোবরে ৩.৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, "এখন সহজ শর্তের ঋণ ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে নমনীয় ঋণ আরো কমে যাবে। ফলে বর্তমান সময়টিই নমনীয় ঋণ পাওয়ার শেষ সুযোগ।"
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, "এলডিসি উত্তরণের প্রভাবে এতে খুব একটা হেরফের হবে না। কারণ বাংলাদেশ যে পরিমাণ বিদেশি সহায়তা পায় তার খুব সামান্য অংশই এলডিসি মর্যাদার সঙ্গে যুক্ত। তাই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলেও এধরনের ঋণ একেবারে বন্ধ হবে না, কারণ সদ্য উত্তীর্ণ দেশগুলো তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এই সুবিধা পেয়েছে," তিনি যোগ করেন।
বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, এলডিসি উত্তরণ হলেও প্রকল্প ঋণের তেমন পরিবর্তন হবে না। বেশিরভাগ প্রকল্প ঋণের শর্ত বহাল থাকবে, কারণ বিশ্বব্যাংক ও এডিবির মতো বহুপাক্ষিক সংস্থা তাদের ঋণকে এলডিসি স্ট্যাটাসের সঙ্গে যুক্ত করে না।
"গ্র্যাজুয়েশন হলে বিশ্বব্যাংকের নমনীয় ঋণের উইন্ডো ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে নমনীয় ঋণ কমে যাবে বটে, তবে অনমনীয় ও মিশ্র ঋণ সুবিধার আওতায় থাকবে। কারণ আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সহজ শর্তের ঋণ কমবে। এতে আমাদের করার কিছু নেই"—যোগ করেন তিনি।
বাজারভিত্তিক ঋণ বাড়ছে
ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ মোট ঋণ নিয়েছে ৭.৯৪২ বিলিয়ন ডলার, এরমধ্যে ৩.৩৮ বিলিয়ন ডলারই বাজারভিত্তিক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের মোট ঋণের ২৮.২ শতাংশ ছিল বাজারভিত্তিক ঋণ। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.৯ শতাংশ।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক অন্যান্য সূচক বিবেচনায় নমনীয় ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত কমে আসছে। এতে বাজারভিত্তিক ঋণে সরকারকে ৪-৫ শতাংশ বেশি সুদ দিতে হচ্ছে বলে পরিশোধের চাপও বাড়ছে।
সোফর এবং ইউরো ইন্টারব্যাংক অফারড রেট (ইউরিবর) এ নেওয়া ঋণ বাজারভিত্তিক। এছাড়া টোকিও ওভারনাইট এভারেজ রেট (টোনা)-তে জাপানি ইয়েনে বাজারভিত্তিক সুদের ঋণ নিয়েছে সরকার। ইউরিবর ও টোনা রেট কম থাকায়, এতে খুব বেশি চাপ থাকছে না। তবে ইয়েন-মার্কিন ডলারের মুদ্রা বিনিময় ঝুঁকি এবং কনভার্সন ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের নমনীয় ঋণ অর্থাৎ নির্দিষ্ট ২ শতাংশ সুদহারের ঋণ ক্রমাগত কমে আসছে। সর্বশেষ এডিবি থেকে গত অর্থবছরে নেয়া ঋণের মাত্র ২০ শতাংশ ছিল নমনীয়। অর্থাৎ ২ বিলিয়ন ডলার ঋণের ৮০ শতাংশ বা ১.৬০৪ বিলিয়ন ডলারই ছিল বাজারভিত্তিক সুদের ঋণ।
এআইআইবি বাজারভিত্তিক সুদ ছাড়া ঋণ দেয় না বাংলাদেশকে। গত অর্থবছরে একটি বাজেট সহায়তা ঋণ ও একটি প্রকল্প সহায়তা ঋণের জন্য এআইআইবির কাছ থেকে বাংলাদেশ ৫৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট সুদহারে নমনীয় ঋণের পাশাপাশি অরেয়াতি ঋণের স্কেল আপ উইন্ডো (এসইউডব্লিউ) থেকেও ৬৭০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়।
এছাড়া গেল অর্থবছরে বাংলাদেশ ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইএসডিবি ) এবং ওপেক ফান্ডের কাছ থেকেও নমনীয় ঋণ নিয়েছে।
সোফরভিত্তিক ডলার ঋণ এখন অনমনীয় ঋণ
ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, সোফর সুদহারে নেওয়া ঋণগুলো এখন অনমনীয় ঋণ হিসেবে চিহ্নিত, কারণ অন্যান্য ফি যোগ করার পর এগুলোর সুদহার এখন ৬-৭ শতাংশ পর্যন্ত। উচ্চ সোফর রেটের কারণে ভাসমান সুদহারে সরকার যে উন্নয়ন ঋণ এবং বাজেট সহায়তা নিচ্ছে তাও এখন এই শ্রেণিতে পড়ছে।
ঋণের নিয়ম অনুযায়ী, যেসব ঋণের অনুদান অংশ ২৫ শতাংশের নিচে থাকে, তা অনমনীয় ঋণ হিসেবে ধরা হয়। গেল অর্থবছরে সরকার ৫০ কোটি ডলারের এমন একটি ঋণ অনুমোদন করেছে 'স্ট্যাবিলাইজিং অ্যান্ড রিফর্মিং দ্য ব্যাংকিং সেক্টর প্রোগ্রাম (সাবপ্রোগ্রাম-১)"- এর আওতায়।
গত ৬ মে ২০২৫ তারিখের সোফর সুদহার ছিল ৪.৩২ শতাংশ, ফলে প্রস্তাবিত ঋণটির অনুদান অংশ বা গ্রান্ট এলিমেন্ট পাওয়া যায় মাত্র ১.৮৮ শতাংশ। অনুদান অংশ ২৫ শতাংশের কম হওয়ায় ঋণটি অনমনীয় শর্তের। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৩ বছর আর পরিশোধের মেয়াদ ১২ বছর, যেখানে অন্যান্য ফিসহ সার্বিক সুদহার ৫ শতাংশ।
গত অর্থবছরে ময়মনসিংহ বিভাগে জলবায়ু টেকসই পাঁচটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) থেকে ২৪১.৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ। এই ঋণ নেওয়া হয় বাজারভিত্তিক হারে। এতে অনুদান অংশ ১০ শতাংশ হওয়ায় এটিও অনমনীয় ঋণ হিসেবে চিহ্নিত।
ইয়েন ঋণ পরিশোধের ঝুঁকি বাড়ছে
সোফরভিত্তিক ডলার ঋণের উচ্চ সুদ এড়াতে গত অর্থবছরে ঢালাওভাবে জাপানি ইয়েনভিত্তিক ঋণ নিয়েছে সরকার। এতে ইয়েন -মার্কিন ডলারের মুদ্রা বিনিময় ঝুঁকি এবং কনভার্সন ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইআরডির কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি একাধিক বাজেট সহায়তা ঋণ ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ডলারের পবিরর্তে ইয়েনে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কারণ সোফর রেটের চেয়ে টোনাভিত্তিক সুদহার কম থাকার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের "চট্টগ্রামে পানি সরবরাহ উন্নয়ন প্রকল্প" উচ্চ সুদ এড়াতে নেওয়া হয়েছে ইয়েনে। এবিষয়ে অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি সময়ে ইয়েন-ভিত্তিক রেফারেন্স রেট টোনা ও আরএমবি-ভিত্তিক রেফারেন্স রেট শিবর কম হওয়ায়— এই রেট ভিত্তিক ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে কর্মকর্তারা ইয়েন, চীনের মুদ্রা ইউয়ান (রেনমেনবি বা আরএমবি) অথবা অন্য যেকোনো মুদ্রায় ঋণ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। এ বিষয়ে উদাহরণ দিতে গিয়ে ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, গত অর্থবছরে এডিবির কাছ থেকে বাংলাদেশ ৬০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা নেয়। ইয়েন নিয়ে এই দিয়ে সরকার আবার ডলার কিনেছে। ফলে শুরুতে ১৩ মিলিয়ন ডলার কমে পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে সম্প্রতি আবার ডলারের বিপরীতে টোনা সুদ বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ইয়েনের ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় ভবিষ্যতে সুদ ও পরিশোধের ঝুঁকি বাড়ছে বলে ইআরডি সতর্ক করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে একাধিক মুদ্রার মজুদ সীমিত হওয়ায় এ ধরনের প্রবণতা ঝুঁকিপূর্ণ বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
নমনীয় ঋণ কমেছে বিশ্বব্যাংক, এডিবির
আইডিএ-২১ এর অধীনে বিশ্বব্যাংকের নমনীয় ঋণ বা কোর আইডিএ ঋণ কমেছে। তিন বছরের আইডিএ-২১ এ বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিক বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে এসডিআর ২,১৮৪ মিলিয়ন, যা সদ্য সমাপ্ত আইডিএ-২০ এর বরাদ্দের তুলনায় ২৬৮.৭ মিলিয়ন এসডিআর কম।
ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, ভাসমান সুদহারের পরিবর্তে ফিক্সড রেট বা নির্দিষ্ট সুদহারে ঋণ নেওয়ার কারণে এই বরাদ্দের ১৫ শতাংশ কমেছে। আগে ভাসমান সুদহারে এ ঋণের জন্য বাংলাদেশকে সুদ গুনতে হতো ৪ শতাংশের বেশি, তবে সাধারণত কোর আইডিএ ঋণের সুদ ছিল নির্দিষ্ট।
এবারই প্রথম কোর আইডিএ ঋণের একটা অংশ বাজারভিত্তিক সুদহারে নিতে হবে বাংলাদেশকে। তবে সুদহার কখনো ৫ শতাংশের বেশি হবে না। ঋণ পরিশোধের সময়ও ৩০ বছর থেকে কমে ২৫ বছর হয়েছে।
গেল অর্থবছরে এডিবির কাছ থেকে "ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম - সাবপ্রোগ্রাম-২" শীর্ষক একটি বাজেট সহায়তা ঋণ বাংলাদেশ ২ শতাংশ নির্দিষ্ট সুদহারে পেয়েছে, সে তুলনায় আগের বছর এডিবির ২০ শতাংশ ঋণ এ হারে ছিল।
জাপানের সুদহার বেড়েছে, বাড়াতে চায় চীনও
বাংলাদেশ যেসব উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে নমনীয় ঋণ পায় তার মধ্যে অন্যতম হলো জাপান। ২০২২ সালেও জাপানের ঋণে সুদহার ১ শতাংশেরও কম ছিল। চলতি অর্থবছরের বাংলাদেশ প্রথম ঋণ নেয় গত নভেম্বরে, যার সুদহার ছিল ১.৭ শতাংশ। এরপর তা বেড়ে সর্বশেষ ২ শতাংশ হয়েছে, যা অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সমপর্যায়ে।
গত জুনে জয়দেপুর-ঈশ্বরদী ডুয়েল গেজ লাইন প্রকল্পের আওতায়, বাংলাদেশ এটি নির্মাণের জন্য ২ শতাংশ সুদে ঋণ পেয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য জাপান ৬৫৬.১৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এ প্রকল্পে পরামর্শ পরিষেবা ঋণের সুদের হারও ০.৬৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এদিকে গত দুই অর্থবছর ধরে চীনের কোনো ঋণ না পাওয়া এবং ঋণচুক্তি না হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে ঋণের মুদ্রা ও সুদহারের বিষয়ে মতবিরোধ। চীন ডলারে নির্দিষ্ট সুদে ঋণ না দিয়ে বাজারভিত্তিক হার এবং তাদের নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ানে (আরএমবি) ঋণ দিতে আগ্রহী। একইসঙ্গে তারা ঋণের সুদহার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ বা ৩.৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।