‘শ্বেত হস্তি’ রিক্ত করছে বাংলাদেশকে: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ঋণ ৬.৪ লাখ কোটি টাকায়

ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের ভারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যখন ধসের মুখে, ঠিক তখনই ভিন্ন এক বাস্তবতায় পরিচালিত হচ্ছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা এসওই-গুলো। সরকারি সাহায্যে বাঁচিয়ে রাখা এসব প্রতিষ্ঠান কার্যত ব্যর্থতা, অদক্ষতা ও অপচয়ের চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে, যার ফলে বাড়ছে সরকারি ঋণ, এবং দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
অর্থবিভাগের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আশঙ্কাজনক এ চিত্র: ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত, ১০১টি রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান (এসওই) ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার (এবি) মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। এটি সরকারের ওপর তৈরি হওয়া গুরুতর আর্থিক চাপকেই তুলে ধরে।
এরমধ্যে ৪২টি প্রতিষ্ঠানই মূলত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, চিনি ও সার খাতের— যেগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠান সরকার ও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণদাতাদের থেকে নেওয়া তাদের ঋণ আর ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এরমধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের ঋণের কোনো না কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪২টি—মূলত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সার ও চিনি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো—উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এদের আর্থিক সক্ষমতা এতটাই দুর্বল যে সরকার বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য নেই বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই তাদের ঋণের কোনো না কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে।
অথচ এসব প্রতিষ্ঠান নতুন কোনো উদ্যোগ নয়; অনেকেই কয়েক দশক পুরোনো রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর বেশিরভাগই ধারাবাহিকভাবে লোকসান করছে, আর কিছু সম্পূর্ণ অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
উচ্চ ব্যয়, অদক্ষতা ও জবাবদিহিতার অভাবের বিষাক্ত সমন্বয়
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট এই সংকটের মূল কারণ হলো—দীর্ঘমেয়াদি অদক্ষতা, উচ্চ পরিচালন ব্যয়, দায়িত্বের ওভারল্যাপ এবং জবাবদিহিতার মারাত্মক ঘাটতির এক বিষাক্ত সমন্বয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অনেক রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগকে 'শ্বেত হস্তিতে' পরিণত করেছে। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় করছে, কিন্তু বিনিময়ে কোনও বাস্তব ফল দিচ্ছে না।
অর্থবিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেছেন, "রাষ্ট্রিয় মালিকানাধীন অনেক প্রতিষ্ঠান উচ্চ ব্যয়, অদক্ষতা ও জবাবদিহিতার অভাবে নিয়মিত লোকসানে পরিচালিত হচ্ছে, যা সরকারের রাজস্বকেও চরম চাপের মধ্যে ফেলছে। যেকারণে এসব প্রতিষ্ঠানকে আর নতুন করে ঋণ না দেওয়া এবং ঋণের বিপরীতে গ্যারান্টি না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এসব প্রতিষ্ঠান কীভাবে সুশাসনে পরিচালনা করা যাবে—তার নীতিমালা সংস্কারেরও সুপারিশ করা হয়েছে।"
এবিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা–সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সহমত একই অভিমত প্রকাশ করে বলেন, "বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান শ্বেত হস্তিতে পরিণত হয়েছে। যেগুলো রাষ্ট্রের জন্য একেবারেই ফিজিবল নয়। সরকারের অর্থের সংকট রয়েছে। তার মধ্যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে অর্থ সরবরাহ করে টিকিয়ে রাখা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।"
ঋণের বোঝা: সংকটকবলিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে পাওনা লাখ লাখ কোটি টাকা
অর্থবিভাগের মনিটরিং সেল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে উঠে এসেছে এক চরম উদ্বেগজনক চিত্র। পর্যালোচিত ১০১টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মধ্যে মাত্র ২টি প্রতিষ্ঠানকে "খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০টি প্রতিষ্ঠান "কম ঝুঁকিপূর্ণ" এবং ৩৭টি "মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ" তালিকায় রয়েছে।
তবে মূল শঙ্কা- সংকটাপন্ন ৪২ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে, যার মধ্যে ২৮টি 'উচ্চ ঝুঁকির' এবং ১৪টি 'অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির' শ্রেণিতে পড়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠান "উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ" এবং ১৪টি "চরম ঝুঁকিপূর্ণ" হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই ৪২ প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারের ঋণ ও গ্যারান্টির পরিমাণ ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা।
উচ্চ ঝুঁকির প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির ১.৬৭ শতাংশ। আর অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকির প্রতিষ্ঠানগুলোর দায় ওই অর্থবছরের জিডিপির ৩.১৩ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ওই অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার ছিল ৪৪,৯০,৮৪১ কোটি টাকা। তাই এসব ঋণ দায়ের একটি অংশ দেশের ভবিষ্যৎ রাজস্ব ব্যবস্থায় ব্যাপক ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে অর্থবিভাগ।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের খেলাপি নিয়ে বিপাকে সরকার
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ঋণের একটি বড় অংশ – ২ লাখ ৭০ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা – সাবসিডিয়ারি লোক এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) এবং লোন এগ্রিমেন্ট (এলএ)-র আওতায় সরাসরি সরকার থেকেই দেওয়া হয়েছে। সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে যে বাজেট সহায়তা নেয়— সাধারণত সেখান থেকেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএলএ এবং এলএ- এর আওতায় ঋণ দিয়ে থাকে।
অর্থবিভাগ সুস্পষ্টভাবে বলছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি এসব ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর জন্য সরকারের আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হবে।
আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এই মোট ঋণের ৫৪ শতাংশ — অর্থাৎ ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮২ কোটি — দীর্ঘমেয়াদি দায় হিসেবে চিহ্নিত, যা সরকারের জন্য গুরুতর আর্থিক ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া, ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ১৮ হাজার ৫৯১ কোটি টাকার আনুষঙ্গিক দায় (কন্টিনজেন্ট লায়াবিলিটি) রয়েছে। এগুলো এমন ঋণ, যা প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছে, কিন্তু তার গ্যারান্টার সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো এই ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে সরকারকেই তা পরিশোধ করতে হবে।
বিপুল ঋণ পরিচালনায় ঘাটতির প্রতিফলন
সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই বিপুল ঋণ রাষ্ট্রিয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় দক্ষতার ঘাটতির প্রতিফলন।
টিবিএসকে তিনি বলেন, "এসব প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া সত্ত্বেও – বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে থাকা সরকার কোনো স্ট্যান্ডার্ড মেকানিজম নেয়নি। স্ট্যান্ডার্ড মেকানিজম হচ্ছে- হয় দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা, নতুবা বন্ধ করে দেওয়া। উল্টো ঋণের নামে এসব প্রতিষ্ঠানে মূলধন জোগান দিয়ে অদক্ষ ও অলাভজনক অবস্থায় বাচিয়ে রাখা হয়েছে।
জরুরি পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, "যেসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আয়ে চলতে পারে না, সেগেুলোর কোনো প্রয়োজন নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান হয় বন্ধ, নাহলে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত।"
সংস্কারের সুপারিশ: মুনাফা হার বাড়ানো, ব্যয়সংকোচন, ঋণ ব্যবস্থাপনার পরামর্শ
রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে ক্রমবর্ধমান আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলায়, একটি সতর্ক ও কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে অর্থবিভাগ। তারা বেশকিছু মৌলিক ও কাঠামোগত সংস্কারের দিক-নির্দেশনা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে—
#নিয়মিত মনিটরিং ও নিবিড় তদারকি: আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং ও নিবিড় তদারকির পরামর্শ এসেছে অর্থবিভাগের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পদ ব্যবস্থাপনা জোরদার করে তার লাভজনক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
#খরচ পুনরুদ্ধার: খরচ পুনরুদ্ধারের পথে যেসব রাজনৈতিক, সামাজিক ও কারিগরি বাধা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে দূর করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
#আর্থিক পরিণামদর্শিতা: খরচ কমানো ও বিকল্প অর্থায়নের উৎস সন্ধান করতে বলেছে অর্থবিভাগ। ঋণ ঝুঁকি কমাতে বিক্রয় বৃদ্ধি, মুনাফার হার বাড়ানো, পরিচালন খরচ কমানোর পরামর্শ এসেছে।
#ঋণ-পূর্ব মূল্যায়ন: এছাড়া নতুন কোনো ঋণ বা গ্যারান্টি দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট এসওই'র আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক ভালোভাবে মূল্যায়ন করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থবিভাগ।
#ঋণ ব্যবস্থাপনা: প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ঋণ পরিশোধের জন্য আলাদা তহবিল গঠন করতে হবে এবং একটি সুস্পষ্ট ঋণ ব্যবস্থাপনা নীতি তৈরি করতে হবে।
#সুশাসন নিশ্চিতকরণ: অর্থ বিভাগের মনে করে, এসব প্রতিষ্ঠানের বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দুর্বল আর্থিক অবস্থার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করতে হবে।
#নীতিগত কাঠামো: রাষ্ট্রীয় সেবার দায় বা পাবলিক সার্ভিস অবলিগেশন (পিএসও) বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিগত কাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। এসওইখাতের জন্য একটি সমন্বিত আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট শাসন কাঠামো গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে অর্থবিভাগ।
বিদ্যুৎ, চিনি ও সার খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় শীর্ষে
অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম– বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), **মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, এবং ঢাকা লেদার কোম্পানি লিমিটেড। এই তালিকায় ৯টি চিনিকল রয়েছে, যথা: শ্যামপুর, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, কুষ্টিয়া, মোবারকগঞ্জ, পাবনা, ফরিদপুর চিনিকল এবং রেনউইক যজেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। এছাড়াও, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এবং ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড রয়েছে এই তালিকায়।
চিনিকলগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা অর্থবিভাগের মনিটরিং সেলকে জানিয়েছেন, তাদের পণ্যের উৎপাদন খরচের ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হয় ঋণের সুদের কারণে। এজন্য তারা সুদ মাফ ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনার প্রস্তাব করেছেন। এছাড়াও, তারা যুক্তি দিয়েছেন যে চিনিকলগুলোর মাধ্যমে এলাকায় বহুবিধ সামাজিক-অর্থনৈতিক উপকার হয়।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম অনুযায়ী, করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা ১৫টি চিনিকলের মধ্যে শুধুমাত্র কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড মুনাফা করছে। বাকি ১৪টি চিনিকল দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলছে।
অন্যদিকে, ২৮টি 'উচ্চ ঝুঁকির' প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে আরও ছয়টি চিনিকল। এছাড়া রয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সার খাতের ১৩টি প্রতিষ্ঠান, ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড, খুলনা পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেড।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, "এই খাতের অনেক কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওনা আদায় করতে পারছে না, কিংবা সময়মতো সরকারি ভর্তুকিও পাচ্ছে না। ফলে ঋণ পরিশোধে তারা সরকারের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে—এটাই আর্থিক মূল্যায়নে তাদের দুর্বল অবস্থানকে আরও প্রকট করছে।"