বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে উন্নত লজিস্টিকস চায় জাপান

জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ রয়েছে, তবে এজন্য ব্যবসা-সহায়ক পরিবেশ উন্নয়ন, বিশেষ করে লজিস্টিকস ও বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছে দেশটি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজুয়াকি কাতাওকা এ মন্তব্য করেন। বিজিএমইএর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কাতাওকা বলেন, 'জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিনিয়োগ অংশীদার এবং অনেক জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে আগ্রহী। তবে এজন্য বন্দর ব্যবস্থাপনা, লজিস্টিক উন্নয়ন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কানেক্টিভিটি [সংযোগ] বাড়ানো জরুরি।'
আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি ইপিএতে সিঙ্গেল স্টেজ রুলস অভ অরিজিন অন্তরর্ভুক্তির বিষয়ে জোর দেন, যাতে জাপানে বাংলাদেশর পোশাক রপ্তানি প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়।
মাহমুদ বলেন, 'বিজিএমইএ কৌশলগত কারণে পোশাক রপ্তানির বাজার বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়েছে এবং এক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অমিত সম্ভাবনার বাজার।'
জেট্রো জাপানি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে এবং স্থানীয়ভাবে জাপানি পণ্য ও প্রযুক্তির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে জাপানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হলেও এর প্রকৃত সম্ভাবনা আরও অনেক বেশি। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জেট্রো-র সক্রিয় সহায়তাকে আমরা অপরিহার্য মনে করি।'
জেট্রো বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করে এবং জাপানি পণ্য ও প্রযুক্তির প্রসারে কাজ করে।
একইসঙ্গে তারা বাংলাদেশি পণ্য ও পরিষেবাকে জাপানি বাজারে প্রবেশে সহায়তা করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জেট্রো বাংলাদেশ সরকার, বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেনিবিড়ভাবে কাজ করছে।
সভায় বিজিএমইএর সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাড়াও জেট্রোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।