আকু বিল পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ কমে ২৪ বিলিয়ন ডলার

আমদানি বিল বাবদ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্ট পরিশোধ করার পর আজ (৮ জুলাই) দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে গত শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার ঋণ ছাড় হওয়ায় ২ জুলাই রিজার্ভ বেড়ে ২৬.৬৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আকু বিল বাবদ ২.০২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আকু বিল পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভ কমে আজ দাঁড়িয়েছে ২৪. ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও কমেছে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআর। তবে তা আইএমএফের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বেশি রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, 'বর্তমানে দেশের রিজার্ভের অবস্থা স্বস্তিদায়ক আছে। তাই আকু পেমেন্টের পরও এর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।'
এর আগে গত ৩ জুলাই পর্যন্ত বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬.৫১ বিলিয়ন ডলা। এছাড়াও ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বা এনআইআর।
আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়।
এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। তবে এখন আকুর সদস্যপদ নেই শ্রীলঙ্কার। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আমদানি ব্যয় পরিশোধের বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আকু সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস অন্তর আকুর বিল পরিশোধ করে থাকে। এর আগে গত ৬ মে মার্চ ও এপ্রিল মাসের আমদানির জন্য ১.৮৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছিল, যার ফলে বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। তবে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণের অর্থ ডলারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ প্রায় চার বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।